Homeএখন খবরPolice Action: ব্যর্থ হল অনুব্রত মন্ডলের টোটকা,শুভেন্দুর দাবিই সঠিক প্রমাণিত করে মঙ্গলকোটের...

Police Action: ব্যর্থ হল অনুব্রত মন্ডলের টোটকা,শুভেন্দুর দাবিই সঠিক প্রমাণিত করে মঙ্গলকোটের তৃনমূল সভাপতি খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার তৃনমূল নেতা সহ ২! ঘটনায় বালি সিন্ডিকেট যোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা: ৭২ঘন্টার মাথায় মঙ্গলকোটের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনার রহস্যের দ্বারে পৌঁছে গেল বিশেষ তদন্তকারী সংস্থা বা SIT. পরিবারের আশঙ্কা মতই গ্রেপ্তার হলেন তৃণমূল নেতা-সহ ২। ধৃত সাবুল শেখ তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সহ সভাপতি। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস খুনের দায়িত্ব নিয়েই বুধবার বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তৃণমূল নেতা সাবুল শেখ ও তাঁর সঙ্গী তৃণমূল সামু শেখের জড়িত থাকার সম্ভবনা খুঁজে পায় রাজ্য পুলিশ গঠিত বিশেষ ওই দলটি। তারপরই ওই ২ জনকে আটক করে শুরু জিজ্ঞাসাবাদ। বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে তৃণমূল নেতার পরিবার অভিযোগ করেছিল যে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে। যদিও অনুব্রত মণ্ডল গতকাল নিহতের বাড়ি যাওয়ার পর, চাপে পড়ে খুনের ঘটনায় দলীয়-যোগ অস্বীকার করে মৃত তৃণমূল নেতার পরিবার। এদিকে অসীম দাস খুনে রাতারাতি SIT গঠন করে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার মঙ্গলকোটে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদ করেন একাধিক ব্যক্তিকে। সেখান থেকেই সাফল্য যা আরও একবার প্রমান করে দিল যে পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করার সুযোগ পেলে সহজেই দোষিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়, এই দক্ষতা এরাজ্যের পুলিশের রয়েছে।

উল্লেখ্য অনুব্রত মন্ডল আসরে নেমেই খুনিদের আড়াল করতে নেমেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কারন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দাবি করেছিলেন মঙ্গলকোটে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। এই ঘটনায় যুক্ত বিজেপি। এরপরই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনা দুঃখজনক। রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। তদন্ত করে তারা প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করুক। তা না করে শাসকদলের নির্দেশে বিজেপিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে পুলিশ’।

উল্লেখ্য সোমবার সন্ধ্যায় মঙ্গলকোটে শিহড় গ্রামে খুন হন তৃণমূলের লাখুড়িয়া গ্রামের অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস। পরিবারের দাবি, দলের গোষ্ঠীকোন্দলের বলি হয়েছেন তিনি। অসীম দাস খুনের ঘটনায় পরিচিত কেউ যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় অসীমবাবুকে ‘দাদা’ বলে ডেকে দাঁড় করান কেউ। তার পর তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয়। ঘটনায় প্রথম থেকেই পরিবেরের অভিযোগ ছিল, স্থানীয় বালি ও অন্যান্য সিন্ডিকেট চক্রের বিরোধিতা করায় অসীমবাবু আগে থেকেই টার্গেট ছিলেন। এর আগেও হামলা হয়েছে তাঁর ওপর।

ঘটনায় যে ফাউল প্লে রয়েছে বুঝতে পেরেই অসীম দাস খুনে রাতারাতি SIT গঠন করে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার মঙ্গলকোটে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদ করেন একাধিক ব্যক্তিকে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাতে প্রাক্তন অঞ্চল সহ-সভাপতি সাবুল শেখের দিকে ঘুরে যায় সন্দেহের তির। এর পর তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের দাবি বেশ কয়েকটি প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি তাঁরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular