Homeএখন খবরহলদিয়ার সুতাহাটায় একইদিনে আক্রান্ত সাব-ইন্সেপেক্টর সহ ৭পুলিশ কর্মী

হলদিয়ার সুতাহাটায় একইদিনে আক্রান্ত সাব-ইন্সেপেক্টর সহ ৭পুলিশ কর্মী

ভীষ্মদেব দাশ, পূর্ব মেদিনীপুরঃ করোনার বিরুদ্ধে ফ্রন্টফুটে থেকে লড়াইয়ে সামিল পুলিশ, স্বাস্থ্য কর্মীরা। দেশব্যাপী পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনায় আক্রান্তের সংখ্য বেড়ে চলেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক থানার পুলিশ কর্মীরাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। হলদিয়ায় ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক , স্বাস্থ্য আধিকারিকের পর এবার কোরোনায় আক্রান্ত হলেন পুলিশকর্মীরা। হলদিয়ার সুতাহাটা থানায় একই দিনে করোনায় আক্রান্ত হলেন ছয় পুলিশ কনস্টেবল সহ এক সাব-ইন্সপেক্টর। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে আক্রান্ত সকল পুলিশকর্মীদের পাঁশকুড়ার কোভিড হাসপাতাল ও হলদিয়ার সেফ হোমে ভর্তি করা হয়েছে। থানায় একসাথে সাত জন পুলিশ কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের মধ্যে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিনিয়ত থানায় ও এলাকায় কাজের জন্য একাধিক মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয় পুলিশকর্মীদের। ফ্রন্টফুটে থেকে প্রতিনিয়ত সকলকে সুরক্ষিত রাখতে পথে রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। কয়েকদিন আগে প্রবল জ্বর ও করোনার একাধিক উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হন এক সুতাহাটা থানার কনস্টেবল। চিকিৎসকদের পরামর্শে অসুস্থ কনস্টেবল ও তার সংস্পর্শে আসা থানার পাঁচ কনস্টেবল ও এক এসআইয়ের কোভিড টেস্ট করা হয়। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তাদের মধ্যে পাঁচ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এবং বুধবার সকাল নাগাদ আরো দুজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আর এতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে থানায় কর্মরত অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের মধ্যে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে আক্রান্তদের মধ্যে এক কনস্টেবলকে পাঁশকুড়া কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে এবং উপসর্গ না থাকায় বাকি ছয় পুলিশকর্মীকে হলদিয়ার সেফহোমে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
এবিষয়ে হলদিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, পুলিশকর্মীদের বহু মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়। যারফলে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আক্রান্ত কর্মীদের চিকিৎসা চলছে এবং তাদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেক কর্মীকে টেস্ট করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্বল্প সংখ্যক কর্মীর মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। থানা স্যানিটাইজ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য দপ্তরের শেষ প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী জেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৬ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪২৪। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯৬১ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩৯৯ জন। জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের।

RELATED ARTICLES

Most Popular