Homeএখন খবরআমাদেরও চাকরি চাই! নিজেদেরকে মাওবাদী দাবি করে প্রস্তুতি 'প্রাক্তন'দের

আমাদেরও চাকরি চাই! নিজেদেরকে মাওবাদী দাবি করে প্রস্তুতি ‘প্রাক্তন’দের

নিজস্ব সংবাদদাতা:এতদিন জঙ্গলমহলের মানুষের দাবি ছিল সরকার তাঁদের ওপর মিথ্যা মাওবাদী তকমা দিচ্ছে। আর সেই জঙ্গলমহলের একদল মানুষ এখন বলছেন, আমরাও মাওবাদী ছিলাম তো! ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জঙ্গলমহলে নির্বিচার মানুষ খুনের দল মাওবাদীদের অনেকেই আত্মসমর্পন করে সরকারের পুনর্বাসন প্যাকেজ পেয়েছে৷ টাকার সঙ্গে জুটেছে চাকরি।

৬ ও ৭ অক্টোবরে খড়্গপুর ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভাতে প্যাকেজ বিলি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মাওবাদী এলাকা থেকে এনভিএফ হিসেবে ৫ বছর ধরে নিযুক্তদের কনস্টেবল পদে উন্নীত করেছেন৷ এরপরই জঙ্গলমহলের কিছু গ্রামে নিজেদের প্রাক্তন মাওবাদী দাবি করে একই প্যাকেজের দাবি তুলেছেন একদল মানুষ। তাঁরা এও বলেছেন যে প্যাকেজ না পেলে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা!

বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ব্লকে জঙ্গলমহলের ডুমুরকোটা গ্রামের পাশের জঙ্গলে এরকমই এক সভা করলেন ওই সব মানুষের একটি দল। এরা নিজেদেরপ্রাক্তন মাওবাদী বা মাওবাদী লিঙ্কম্যান বলে দাবি করছেন ৷ তাঁদের দাবি মাওবাদী সংযোগ থাকায় এরা প্রত্যেকেই বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ঝুলছে। কেউ কেউ জেলও খেটেছেন বলে দাবি করেন। তাঁরা সেই মামলার কাগজপত্র সামলেও রেখেছেন। সেই নথির ভিত্তিতেই তাঁরা প্যাকেজ চেয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

যেমন শিরশী গ্রামের তারাপদ মাহাত বলেন, ” মাওবাদী পর্বে মাওবাদীদের সংগে আমি সরাসরি যুক্ত ছিলাম। পুলিশের খাতায় মাওবাদী বলে আমার নাম রয়েছে। অনেক মামলায় আজও যুক্ত হয়ে ভুগছি, তৃনমূল সরকারে আসার আগে বলেছিলেন এই মামলা তুলে দেবেন, আজও তুলে দেয় নি ৷ অন্যদিকে প্যাকেজের কথাও বলেছিলেন তাও পায় নি ৷ আজ অন্যরা পাচ্ছে দেখছি,তাই আমরাও আবেদন রাখছি আমাদেরও চাকরি এবং প্যাকেজ দেওয়া হোক ৷”

একই কথা বলেন ডুমুরকোটা গ্রামের বাসিন্দা সুবোধ মাহাত। সুবোধের দাবি, “২০০৮ সাল থেকেই আমি মাওবাদী ধারায় ছিলাম। যে কারনে আমি বিভিন্ন মামলাতে যুক্ত হয়ে গিয়েছি। লালগড় ও কোতয়ালি থানাতে ৫টি মামলা আজও চলছে ৷ আমরা চাই দিদি আমাদের এই মামলা সরিয়ে দিক, সেই সাথে আমাদেরও প্যাকেজ দিন ৷”
যদিও মণিদহ গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান অঞ্জন বেরা বলেন, মাওবাদী পর্বে তাদের চাপে গ্রামের বেশিরভাগ লোকজনকেই তাদের সঙ্গতে বা সভাতে যেতে হয়েছে ৷ তাহলে গ্রাম কে গ্রাম চাকরী দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের নেই ৷ সবটাই তদন্ত করে পুলিশের এগোনো উচিত ৷ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি জেলার পুলিশ কর্তারা। বিষয়টিকে বেশ মজার সংগে দেখছেন বিরোধীরা। তাঁদের মতে এখন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে জঙ্গলমহলে কারা মাওবাদী ছিল এবং মানুষ খুন করেছিল। খোঁজ নিলে দেখা যাবে আসলে এরা সবাই তৃনমূল। এরাই বলেছিল, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে বাংলার ভূগোল বদলে যাবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular