Homeএখন খবরকরোনা সংক্রমনের মুখে দাঁড়িয়ে কলেজের ফাইনাল সেমিস্টার পরীক্ষা বাতিল করল রাজ্য

করোনা সংক্রমনের মুখে দাঁড়িয়ে কলেজের ফাইনাল সেমিস্টার পরীক্ষা বাতিল করল রাজ্য

ওয়েব ডেস্ক :  জাতীয় স্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির অনেকেই ইতিমধ্যে সেমিস্টার বা ষান্মাষিক পঠনচক্র চূড়ান্ত পরীক্ষা ছাড়াই সমাপ্ত ঘোষনা করেছে অর্থাৎ পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী সেমিস্টারে পৌঁছনোর কথা ঘোষনা করেছে। এবার সেই পথে হাঁটল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এ  রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এর আগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে। ২ বার সূচী বদলানোর পর অবশেষে ২রা জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের বকেয়া পরীক্ষা। এবার সেই পরিস্থিতির মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফাইনাল সেমিস্টার নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

শনিবার রাজ্যের সমস্ত উপাচার্যদের সাথে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। দিন দিন রাজ্যে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এই মূহুর্তে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার। ফলে এদিন বৈঠকে ফাইনাল সেমিস্টার বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কিভাবে পড়ুয়াদের ফাইনাল সেমিস্টারের নম্বর দেওয়া হবে? এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে, মূলতঃ আগের সেমেষ্টারগুলোয় শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে ৫০% নম্বর দেওয়া হবে। আর বাকি ৫০% নম্বর কলেজের পরিকাঠামো, পড়ুয়াদের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে।

কোনো কলেজ চাইলে শিক্ষার্থীদের হোম অ্যাসাইনমেন্ট, ফোন ভাইভা অথবা পরিকাঠামো সঠিক থাকলে অনলাইন প্রজেক্টের মাধ্যমেও তারা শিক্ষার্থীদের তাদের প্রাপ্ত নম্বর দিতে পারেন। তবে অবশ্যই সবদিক বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা ঠিক করবেন। তবে কোনওভাবেই এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের কলেজে প্রবেশ করানো হবে না। তবে আপাতত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় উপাচার্যদের সাথে বৈঠকের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নিলেও এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সাধারণত প্রতিবছর থার্ড সেমিস্টারের পরীক্ষা হয় মে-জুন মাসে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ঠিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষার সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এরপর সেপ্টেম্বর মাস থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু করার চিন্তাভাবনা করছে ইউজিসি। ফলে এই মূহুর্তে পড়ুয়াদের ফাইনাল সেমিস্টার দিতে আর কলেজে না গিয়ে কিভাবে অন্য পদ্ধতিতে তাদের বাড়ি বসেই পরীক্ষা নেওয়া যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা করছেন উপাচার্যরা। অন্যদিকে, যদি কোনো কলেজের উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকে তবে বাকি ৫০% নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি নির্দিষ্ট পদ্ধতি না মেনে গড়ের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হয় তবে সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের মেধার দিকে নজর দেওয়া হবেনা বলেও মনে করছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular