Homeএখন খবরঅভিষেককে টেক্কা দিয়েই মূখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১কোটি ৬০লক্ষ টাকা দান শুভেন্দুর

অভিষেককে টেক্কা দিয়েই মূখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১কোটি ৬০লক্ষ টাকা দান শুভেন্দুর

নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের অভিষেক ব্যানার্জীকে টেক্কা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কয়েকদিন আগেই তৃনমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১কোটি টাকা দান করেছিলেন যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জী। সেই অঙ্ককে টপকে মূখ্যমন্ত্রীর তহবিলে ১কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দান করলেন রাজের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য মিলছেনা করোনা মোকাবিলায় আর সে কারনেই একটি পৃথক তহবিল তৈরি করে সেখানে সমস্ত ধরনের ব্যক্তির ও প্রতিষ্ঠানকে সাধ্যমত দান করার জন্য আহ্বান জানান মূখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন জায়গা থেকে ত্রাণ আসতে শুরু করে। সংখ্যায় স্বল্প হলেও বাম বিধায়করাই প্রথম সিদ্ধান্ত নেন তাঁদের বিধায়ক তহবিল থেকে ১০লক্ষ টাকা দান করবেন। এরপর অভিষেক ব্যানার্জী যুব কংগ্রেসের কোষাগার থেকে ১কোটি টাকা দান করেন। অঙ্কের বিচারে সেটাই ছিল সর্বাপেক্ষা বৃহৎ। এবার তাকেও ছাড়িয়ে গেলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

জানা গেছে শুভেন্দু অধিকারী যে তিনটি সমবায় বাঙ্কের চেয়ারম্যান, সেই তিনটি বাঙ্কের তরফে ও নিজের বেতন মিলিয়ে তিনি এই টাকা দান করেছেন । দুর্দিনে বারবার তাঁকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে। এবার করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রাজ্যবাসীকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উদ্যোগের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের পরিবহণ, সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজে এবং যে তিনটি ব্যাঙ্কের তিনি চেয়ারম্যান সেই সংস্থাগুলির তরফ থেকে মোট ১কোটি ৬০ লক্ষ টাকা স্টেট এমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে জমা করালেন মন্ত্রী।
অখণ্ড মেদিনীপুর জেলার তিনটি সমবায় ব্যাঙ্ক যথাক্রমে ‘কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিঃ’ , ‘বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো ব্যাঙ্ক লিঃ’ ও ‘কন্টাই কার্ড ব্যাঙ্ক লিঃ’-এর চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। এই ব্যাঙ্কগুলির উপার্জন থেকে র‍্যাজের ত্রাণ তহবিলে  ৫০ লক্ষ টাকা করে মোট দেড় কোটি টাকা জমা দিয়েছেন মন্ত্রী। এর পাশাপশি নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী নিজের বেতন থেকে ১০ লক্ষ টাকা জমা করেছেন রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে।

রাজ্য রজনীতিতে এই মুহূর্তে দলের সর্বোচ্চ স্তরে কিছুটা কোন ঠাসা শুভেন্দু। শুভেন্দুর অনুগামীদের ধারনা ২০২১য়ের আগে শুভেন্দুকে পেছনে সরিয়ে সামনের সারিতে তুলে আনা হচ্ছে রজনীতিতে তাঁর কাছে শিশু অভিষেককেই আর এই গোটা বিষয়ে গেম প্ল্যান করছেন প্রশান্ত কুমার। মূখ্যমন্ত্রীর তহবিলে কোটি টাকা দান করে লাইম লাইটে উঠে আসাও হয়ত সেই প্ল্যানেরই অঙ্গ। অন্যদিকে শুভেন্দুর হাতে মন্ত্রীত্ব টুকু ছাড়া এমন কোনও দলীয় সংগঠন নেই যা থেকে তিনি অনেক টাকা মূখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দিতে পারতেন। তাই ওই তিনটি ব্যাঙ্কের লভ্যাংশ ও নিজের বেতনের টাকাকেই ভরসা করেছেন তিনি।

এই টাকা দান করতে গিয়ে নিজের ঘনিষ্টদের কাছে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের মানু্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রদান করে শুভেন্দু নাকি এও বলেছেন, ” এই লভ্যাংশের টাকা অবিভক্ত মেদিনীপুরের তিনজেলার মানু্ষের লভ্যাংশের টাকা। আমি জানি তাঁরা আমাকে আশীর্বাদ করবেন, এই ভয়ংকর বিপদে তাঁদের টাকা মূখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করার জন্য।”
শুভেন্দু আবারও তাঁর সেই উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে অনুগামীদের বলেছেন, রাজনীতি আমাদের পেশা নয়, পেশা মানু্ষের পাশে দাঁড়ানো আর সেটা করতে গিয়েই আজ রজনীতিকে মাধ্যম করেছি, কাল যদি রাজনীতিতে না থাকি অন্য কোনও কিছুকে মাধ্যমকে করব কিন্তু মানু্ষের পাশ থেকে সরে যাবনা।”

RELATED ARTICLES

Most Popular