Homeএখন খবরসন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা ব্যক্তির, মন্তেশ্বরে উদ্ধার আহত শিশুকন্যাও

সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা ব্যক্তির, মন্তেশ্বরে উদ্ধার আহত শিশুকন্যাও

                 
নিজস্ব সংবাদদাতা: সন্দেহ কুরে কুরে খেত কিন্তু প্রমান পাননি কোনও দিন। তবুও সন্দেহ সন্দেহই, এমনই এক রোগ যা সারানো মুশকিল। আর সেই সন্দেহের বশেই  স্ত্রীকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। পুলিশের অনুমান খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল  ৯ মাসের শিশুকন্যাটিকেও। রক্তাক্ত, আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তাকে।  আছড়ে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বুধবার পূর্ব বর্ধমানের  মন্তেশ্বরের উত্তরপাড়ার ওই ঘটনায় মৃতেদের পরিচয় জানা গেছে  অচিন্ত্য সাঁতরা ও জবা সাঁতরা । বয়স যথক্রমে ৩০ ও ২৫বছর । আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁদের শিশুকন্যা পিংকি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই ঘটনায় মৃতার শ্বশুর ও  শাশুড়ি সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার মা। তিনি দাবি করেন, পারিবারিক সন্দেহের শিকার ছিল তাঁর মেয়ে। সবাই মিলিয়ে তাঁর মেয়েকে সন্দেহ করত, গঞ্জনা দিত। এমনকি বারংবার তাঁর মেয়েকে জামাই মারধর করলেও পরিবার কিছু বলতনা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মৃতার মা মিঠু রায় বলেন , ” কয়েক মাস আগেই ব্যাপক মারধর করা হয় আমার মেয়েকে। রাগ করে আমাদের বাড়ি চলে আসে। ১২দিন আগে জামাই গিয়ে তাকে নিয়ে আসে। তারপর এই কান্ড।”তিনি আরও বলেন, ” বরাবর মেয়েকে সন্দেহ করেছে। আমরা বলেছি প্রমাণ দেখান। কিন্তু কোনওদিন কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য ওদের গোটা পরিবারই দায়ী।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে অচিন্ত্যর বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়েছিল। মারধরও করা হচ্ছিল জবাকে। পরে স্থানীয়রা গিয়ে দেখেন ঘরে পড়ে রয়েছে জবার রক্তাক্ত দেহ। মাথায় বাঁশ জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর ঘরের মধ্যেই ছাউনির কাঠামোয় ঝুলছে অচিন্ত্য।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খবর পেয়ে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘরের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল শিশুকন্যাও। তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০১৭ সালে অচিন্ত্যর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মন্তেশ্বরেরই ধাওড়াপাড়ার জবার। সন্তান হওয়ার পর প্রায়ই অশান্তি হত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহ করে স্ত্রীকে প্রায়ই মারধর করত অচিন্ত্য।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস জানান, ”অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কে কাকে মেরেছে বা কিভাবে পুরো ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়।” অন্যদিকে অচিন্ত্যর পরিবার সমস্ত আভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে, অচিন্ত্য জবাকে নিয়ে আলাদা থাকত। তাদের ব্যাপারে পরিবারের অন্যরা নাক গলাতনা।

RELATED ARTICLES

Most Popular