Homeএখন খবরপুনঃ র্নির্বাচনের দিনও উত্তেজনা কোচবিহারের শীতলকুচিতে, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে বিজেপির...

পুনঃ র্নির্বাচনের দিনও উত্তেজনা কোচবিহারের শীতলকুচিতে, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে বিজেপির পতাকা লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘোরার অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক: ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে বিজেপির পতাকা লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘোরার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী বরেন্দ্রচন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধে। পুনর্নিঃর্বাচনের দিনও কোচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে উত্তেজনা ছড়ায় এই ঘটনায়। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে আইসি-কে বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়। রীতিমতো হুমকির সুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর বচসা। আইসি-কে আঙুল উঁচিয়ে হুমকি তৃণমূল প্রার্থীর। তিনি বলেন, ‘পুলিশ কমিশনের দালাল। বিজেপির কথায় চলছে কমিশন।’এদিন ওই বুথে যান সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সুধাংশু প্রামাণিকও।

বৃহস্পতিবার শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে ফের ভোট। গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচিতে বাহিনীর গুলি চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়, বন্ধ হয়ে যায় ভোট। গত ১০ এপ্রিল, চতুর্থ দফার ভোটে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের শীতলকুচি। জোড়া পাটকিতে ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে সকালে গুলি চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ৪ জন। বন্ধ হয়ে যায় ভোট গ্রহণ।

ঐদিনই সকালে ১৮ বছরের যুবক আনন্দ বর্মনের মৃত্যু খবর পাওয়া গিয়েছিল আগেই। শীতলকুচিতেই ফের গুলি চলার ঘটনায় আরও চারজনের গুলি লেগে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে সিএপিএফের বিরুদ্ধে। বিনা প্ররোচনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালায় বলে অভিযোগ।

গোটা ঘটনার বিস্তারিত অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিএপিএফ বাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। কেন তাদের গুলি চালাতে হল তা খতিয়ে দেখা হয়।

শীতলকুচির এই ঘটনার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, বিনা প্ররোচনাতেই গুলি চালানো হয়েছে। মন্তব্য থেকে পাল্টা কটাক্ষ শুরু করে শাসক-বিরোধী দলগুলি। তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

RELATED ARTICLES

Most Popular