Homeএখন খবরসোমবার থেকেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে স্নাতকস্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া, বিধি মেনে অনলাইনেই হবে...

সোমবার থেকেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে স্নাতকস্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া, বিধি মেনে অনলাইনেই হবে ভর্তি

ওয়েব ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে ফের কবে খুলবে স্কুল-কলেজ তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত সেভাবে কিছুই স্থির করে উঠতে পারেনি শিক্ষা দফতর। ফলে আপাতত স্কুল কিংবা কলেজ কোনওটাই খোলার সম্ভাবনা নেই। এদিকে ইতিমধ্যেই বেরিয়ে গিয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট। ফলে, কবে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে, আদেও চলতি বছর শিক্ষাবর্ষে কলেজগুলি খুলবে কিনা তা নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে৷ ফলে এধরণের নানা কারণে ছাত্রছাত্রীদের কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া ফেলে রাখতে নারাজ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। একারণে সোমবার থেকেই রাজ্যের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া। তাদের মধ্যে রয়েছে বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ ও পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলি। তবে এবছর ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের একেবারেই কলেজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই৷ গোটা প্রক্রিয়াই হবে অনলাইনে। পাশাপাশি ভর্তির ক্ষেত্রে কোথাও ফি বাড়ানো হচ্ছে না বলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, আপাতত বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত মোট ৬২টি কলেজে স্নাতকস্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। ভর্তি শুরু হবে আগামী ১০ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে শুধুমাত্র যে পূর্ব বর্ধমানের কলেজগুলিতেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে তা কিন্তু নয়। এছাড়াও নির্দিষ্ট বিধি মেনে বীরভূম ও হুগলির কলেজগুলিতেও স্নাতকস্তরের ভর্তি শুরু হবে। তবে যেহেতু এই মূহুর্তে কলেজগুলি বন্ধ রয়েছে, সেকারণে সরকারি বিধি নিষেধ মেনে ভর্তির জন্য কোনও পড়ুয়াকেই কলেজে যেতে হবে না। এমনকি এবছর ভর্তির ফিও একই থাকবে। গতবছরের তুলনায় এবছর ফি বাড়ানো হবে না বলেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি নয়া শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি সংক্রান্ত একগুচ্ছ নিয়মের কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল সেই বিজ্ঞপ্তিতে। এবিষয়ে রেজিস্ট্রার অভিজিৎ মজুমদার স্নাতকস্তরে প্রথম বর্ষের প্রথম সেমেস্টারে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সরকারি নির্দেশিকা মেনে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা কলেজগুলিকে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। তার কপি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়া ও ভর্তি চলাকালীন কলেজে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির কোনও প্রয়োজন নেই। অ্যাডমিশন ফি-ও নিতে হবে অনলাইনে।
কোনও পড়ুয়া ভর্তি হওয়ার পর ১০ দিনের মধ্যে বিষয় বা ধারা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ৫ দিনের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন। কোনও পড়ুয়া অন্য কলেজে চলে যেতে চাইলে বা ভর্তি বাতিল করতে চাইলে তাঁর অ্যাডমিশন ফি’র অর্থ ফেরত দিতে হবে। আর ওই আসনটি ফাঁকা তালিকায় যুক্ত করতে হবে।

তবে শুধুমাত্র বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় নয়, পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও একই পদ্ধতিতে চলবে ভর্তি প্রক্রিয়া। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় ৫০টি কলেজ আছে। সেখানেও ১০ই আগস্ট থেকে স্নাতক স্তরে শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, কলেজগুলিতে আবেদনপত্র দেওয়া চলবে ২৫ তারিখ পর্যন্ত। তার ভিত্তিতে ৩১ তারিখ চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশিত হবে। মেধাতালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের কাছে এসএমএস পাঠানো হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। এরপর শুরু হবে ভর্তির চূড়ান্ত প্রক্রিয়া। সেই দিনক্ষণ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে পুরো বিষয়টিই হবে অনলাইনে। এর জন্য কোনও পড়ুয়ার কলেজে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই।

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই একই নিয়মে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে মোট কলেজের সংখ্যা ১৬টি, আসন সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। সোমবার থেকেই এই কলেজে শুরু হবে অনলাইনে ফর্মবিলি। পাশাপাশি প্রকাশিত হবে মেধা তালিকা। মেধা তালিকা প্রকাশের পর চূড়ান্ত ভর্তির পদ্ধতি চালু হবে। এখানেও চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশিত হবে ৩১ আগস্ট। তবে কলেজগুলিতে যাতে কোনোভাবেই ভর্তির জন্য বাড়তি ফি নেওয়া না হয়, তার জন্য কলেজগুলিকে আগে থেকেই নির্দেশ দিয়ে রেখেছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।

RELATED ARTICLES

Most Popular