Homeএখন খবর৭২ ঘন্টা নিখোঁজ, পরীক্ষার ২দিন আগে গঙ্গায় ভেসে উঠলো NEET পরীক্ষার্থীর দেহ,...

৭২ ঘন্টা নিখোঁজ, পরীক্ষার ২দিন আগে গঙ্গায় ভেসে উঠলো NEET পরীক্ষার্থীর দেহ, চাঞ্চল্য কোন্নগরে

ওয়েব ডেস্ক : মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় বাবা-মাকে নিজের হাতে চা খাইয়ে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ‘নিট’ পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড প্রিন্ট আউট করতে ক্যাফেতে যাওয়ার নামে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল অভীক। তারপর থেকেই নিখোঁজ সে। মঙ্গলবার রাতে একাধিকবার খোঁজাখুঁজির পর শেষমেশ কোন্নগরের বারো মন্দির ঘাটের সামনে থেকে তার সাইকেল পাওয়া গেলেও অভীককে পাওয়া যায়নি। এরপর পরিবারের তরফে উত্তরপাড়া থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর শুক্রবার সকালে শিবতলার শ্মশানঘাটের সামনের গঙ্গায় থেকে উদ্ধার হয় ওই NEETপরীক্ষার্থীর দেহ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে এলাকারই কয়েকজন বাসিন্দা গঙ্গায় স্নান করতে এসে একটি দেহ ভাসতে দেকেন এরপর দ্রুত থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছান উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। যেহেতু তিনদিন আগেই গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকেই অভীক মণ্ডলের সাইকেল পাওয়া গিয়েছিল, সেকারণেই পুলিশের তরফে অভীকের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসেই দেহটি শনাক্ত করেন। তবে অভীকের মতো একজন মেধাবী ছাত্র যে কিনা ৯৪% নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছেন, এমনকি যে কিনা NEET এর মতো পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছিলেন সেকি আদৌ আত্মহত্যা করতে পারে? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে অভীকের পরিবারকে।

ঘটনায় অভীকের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, এবছর ৯৪% নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে কলকাতা সুরেন্দ্রনাথ কলেজে মাইক্রোবায়োলজি অনার্সে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে বরাবরের। সেকারণে এবার NEET পরীক্ষায় বসতে চায় সে। অভীকের বাবা কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল, সেকারণে প্রতিদিন বাফি ফিরতে পারেন না। মঙ্গলবার বাবা এলে নিজের হাতে চা বানিয়ে খাওয়ায় অভীক। এরপর অ্যাডমিট কার্ড প্রিন্ট করতে ক্যাফে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরোয়৷ তার মা যেতে চাইলে তাকে নিয়ে যেতে চায়না ছেলে। কিন্তু রাত দশটা বেজে গেলেও ছেলে ফিরছে না দেখে পাড়ার ক্যাফেতে গিয়ে ছেলের খোঁজ করতেই ক্যাফের মালিক বলেন অভীক সাড়ে আটটা নাগাদ অ্যাডমিট নিয়ে চলে গেছে। এরপরই তাকে খোঁজ করতে করতে রাত ১২টা নাগাদ বারো মন্দির ঘাটের গঙ্গার ঘাটের পাশ থেকে অভীকের সাইকেল পাওয়া যায়। কিন্তু ছেলেকে পাওয়া যায়নি। এদিকে যেহেতু ফোন বাড়িতে রেখে গেছে সেকারণে ফোন করাও সম্ভব হচ্ছে না।

এরপর সন্দেহের বসে অভীকের বাবা পেশায় কলকাতা পুলিশকর্মী সুভাষ মন্ডল ছেলের ফোন খুলে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক চেক করতে গিয়ে দেখেন সেখানকার সমস্ত মেসেজ ডিলিট করা রয়েছে এমনকি ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছে অভীক। এরপরই উত্তরপাড়া থানায় যোগাযোগ করেন তাঁর পরিবার। তবে অভীক কেন আচমকা হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুকের মেসেজ ডিলিট করতে গেল? তাহলে কি ওই মেসেজগুলির মধ্যেই কোনো রহস্য লুকিয়ে রয়েছে? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই তার ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে তাঁর বন্ধু, পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকে বিহ্বল তাঁর বাবা,মা। পরিবারের লোকজন এবং বন্ধুবান্ধবরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular