Homeএখন খবরগেরুয়া শিবিরে যোগদানের পরের দিনই বিজেপি প্রার্থীর হয়ে ঝাঁপালেন শিশির অধিকারী

গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পরের দিনই বিজেপি প্রার্থীর হয়ে ঝাঁপালেন শিশির অধিকারী

নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৪ ঘন্টাও কাটেনি অমিত শাহের মঞ্চে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার, তারই মধ্যে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমে পড়লেন শিশির অধিকারী। সোমবার কাঁথি উত্তর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী সুমিতা সিনহার হয়ে উত্তর কাঁথি বিধানসভার অন্তর্গত পাহাড়পুর স্ট্যান্ডে একটি জনসভায় হাজির হয়ে মাত্র ১ দিনের পুরানো দলের প্রার্থীকে হারাতে জনসভায় বক্তব্য রাখতে দেখা গেল সিনিয়র অধিকারীকে।

রবিবার এগরায় শাহী সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেন কাঁথির এই বর্ষীয়ান নেতা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের জোর করে বিজেপিতে ঠেলে পাঠিয়ে দেওয়া হল।” অভিযোগ ও একই সঙ্গে আক্ষেপের সুরে সিনিয়ার অধিকারী বলেন, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শিশির অধিকারী ও তাঁর পরিবারের আদ্যশ্রাদ্ধ করা হচ্ছিল। নিত্য আক্রমণ করা হয়েছে কটূ কথায়। শিশির অধিকারী দলের জেলা সভাপতি ছিলেন, তা থেকে সরিয়ে তাঁকে চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। ছিলেন সাংসদও। কিন্তু তাঁর পরিবারকে যে ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে তিনি আর তৃণমূলে সক্রিয় হতে পারেননি। পাশাপাশি মমতাকেও তোপ দাগেন শিশির। সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পা আদৌ ভেঙেছে কি না!

তবে শুভেন্দু গত ডিসেম্বরে শাহী সভায় পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। ঘোষনাও করেছিলেন অধিকারী পরিবারে পদ্ম ফোটাবেন বলে। এরপর থেকেই জোর জ্জল্পনা ছিল, এবার কি তবে শিশিরও একই পথে পা বাড়াবেন! সেই জল্পনা আরও জোরদার হয়, যখন কনিষ্ঠ শিশির পুত্র সৌমেন্দুও দাদার পথ অনুসরন করে পদ্ম শিববিরে যোগ দেয়। এছাড়াও এরপর থেকে ঘাসফুলের আর কোনও সভায় শিশিরের দেখা মেলেনি। শরীর খারাপ, পায়ে যন্ত্রণা এরকম একাধিক সুর শোনা গিয়েছিল শিশিরের গলায়। এরপর থেকে শাসক শিবিরের সাথে অধিকারী পরিবারের চিড় ধরা সম্পর্কের ফাটল আরও মজবুত হয়। শাসক দলের পক্ষ থেকে শিশিরে সাংগঠনিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি খর্ব করা হয় তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতাও। সেদিন অবশ্য মানসিক ভাবে আহত হয়েছিলেন শিশির, এমনটাই তিনি জানিয়েছিলেন।

এরপর নন্দীগ্রামে শুভেন্দু দাঁড়ানোর পর বলেছিলেন প্রচারে যাবেন ছেলের হয়ে। এরপর সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ৮২ বছর বয়সে দলবদল করলেন। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে একুশের নির্বাচনের আগে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে দিলেন। এদিন যোগদানের আগেই অবশ্য শাসকদলকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন শিশির। বলেছিলেন, “আমরা ফুটপাতের মানুষ, ফুটপাত থেকেই লড়াই করেছি। ফের ফুটপাত থেকেই লড়াই শুরু করতে হবে। আর তৃনমূল দলটা পুরো মেদিনীপুর থেকেই সাফ হয়ে যাবে।” তবে সবুজ শিশির গেরুয়া পতাকা হাতে নিলেন না। বিজেপির পতাকা ছাড়াই তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন অমিতের সভায়। পেছনে কী কোনও বার্তাও রেখে গেলেন মমতা ব্যানার্জীর জন্য?

যদিও রহস্যের এখানেই শেষ নয়। মাত্র ৪৮ ঘন্টা ব্যবধানে অধিকারী পরিবারে থেকে যাওয়া শেষ উইকেটটিও পড়তে চলছে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলে। বুধবার বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে কাঁথিতে প্রচারে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ওইদিনই অধিকারী পরিবারের দ্বিতীয় সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, এমন সম্ভাবনাই প্রবল।

RELATED ARTICLES

Most Popular