Homeরাজ্যকরোনায় মৃত্যু হলেই 'চাকরি' পাবেন পরিবার, প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর

করোনায় মৃত্যু হলেই ‘চাকরি’ পাবেন পরিবার, প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর

ওয়েব ডেস্ক : করোনার লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের। এবার সেই সমস্ত যোদ্ধাদের পরিবারের জন্য বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘শহিদ’দের পরিবার পিছু ১ জনকে চাকরি দেবে রাজ্য। বুধবার বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও এসপিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর এদিনই ‘শহিদ’ করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে একথা ঘোষণা করেন মমতা।

এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, যে সমস্ত করোনা যোদ্ধারা আর নেই তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পরিবার পিছু ১ জনকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য সরকার। পাশাপাশি কী পদ্ধতিতে তাঁদের চাকরি দেওয়া হবে সেবিষয়ে জেলাশাসক ও বিভিন্ন দফতরের সচিবদের সাথে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, চাকরির পাশাপাশি প্রতি পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা করা হয়৷ পাশাপাশি, যারা করোনা যুদ্ধে ‘শহিদ’ হয়েছেন তাদের পাশাপাশি যারা ইতিমধ্যেই করোনামুক্ত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ব্যাজ ও মেডেল দিয়ে সম্মান জানানো হবে।

জানা গিয়েছে, এই রাজ্যে এখনো পর্যন্ত সংক্রমিত ৪১৫ জন করোনা যোদ্ধা। এর মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মী ও প্রশাসনিক কর্মী ও আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এদের মধ্যে ৪০৩ জন সুস্থ হয়ে উঠলেও মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৮ জন পুলিশকর্মী, ৩০ জন চিকিৎসক, ৪৩ জন নার্স ও ৬২ জন সরকারি কর্মচারী। তবে শুধুমাত্র করোনায় মৃতদেরই নয় করোনা আক্রান্ত পরিবারদেরও এককালীন ১ লক্ষ টাকা অনুদান দিচ্ছেন রাজ্য সরকার।

এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ইতিমধ্যেই ২৮৪ জন করোনায় সংক্রমিত যোদ্ধা ১ লক্ষ টাকা পেয়ে গিয়েছেন আরও ১৯৯ জন যাতে খুব শীঘ্রই টাকা পেয়ে যান সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এজন্য সরকারের ৫.২৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি বুধবারের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিতে সকল প্রথম সারির যোদ্ধাদের ভাল করে কাজ করার পরামর্শ দেন৷ সেই সাথে সাধারণ করোনাজয়ীদের নিয়েও কথা বলেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত করোনা রোগীরা সেরে উঠেছেন তাদের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে বেতন ও চুক্তি ভিত্তিক ‘কোভিড ওয়ারিয়র’ হিসেবে কাজে লাগানোর লাগানোর কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জেলাগুলিতে কোভিডজয়ীদের কাজে লাগানো হবে। আমরা দেখব যাতে তাঁদের কাজ না যায়। কারণ, বিপদের বন্ধুদের সবসময় পাশে থাকতে হয়।”

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে চিকিৎসক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ এবিষয়ে বেসরকারি হাসাপাতালের তরফে বলা হয়েছে, এই সময় সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলিও সমানভাবে লড়াই করে চলেছেন। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকারি ক্ষেত্রে যাদের মৃত্যু বা আক্রান্ত হয়েছে তাদের পরিবারকেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে রাজ্য। এদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলির দিকে নজরই নেই রাজ্য সরকারের। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক চাপানোতরের সৃষ্টি হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular