Homeরাজ্যউত্তরবঙ্গআজই আষাঢ়ষ্য প্রথম দিবস, আজই বর্ষামঙ্গল খড়গপুর মেদিনীপুর সহ সারা বাংলায়

আজই আষাঢ়ষ্য প্রথম দিবস, আজই বর্ষামঙ্গল খড়গপুর মেদিনীপুর সহ সারা বাংলায়

নিজস্ব সংবাদদাতা: জৈষ্ঠ্য মাসের আজ ২৯ তারিখ, মাসটা আবার ৩২দিনে তাই আষাঢ়ের প্রথম দিনটি আরও তিনদিন পরে শুক্রবার। তবু আজই আষাঢ়ষ্য প্রথম দিবস, আজ বর্ষা এসেছে খড়গপুর, মেদিনীপুর, দক্ষিনবঙ্গ এমনকি উত্তরবঙ্গেও। বর্ষা এসেছে সারা বাংলায়। কবির হিসাবে বর্ষা ঢুকেছে তিনদিন আগেই আর আবহবিদের হিসাবে ২দিন পরে, যে হিসাব বলে বাংলা আসে ১০জুন। এবার অবশ্য আবহবিদদের পাঁজি অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে শুক্রবারই রাজ্যে ঢুকল বর্ষা। তার জেরে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গের জেলেগুলিতেও ঝেঁপে বৃষ্টি হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টি চলবে। কোথাও কোথাও বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ, শুক্রবার সারা দিনই কলকাতায় দফায় দফায় বৃষ্টি হবে। হাওড়া, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, নাদিয়া, হুগলিতেও বৃষ্টি চলবে। অন্য দিকে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে ওড়িশা উপকূলেও বৃষ্টি হচ্ছে। রাজ্যের একাংশে বর্ষার আগমনও ঘটেছে। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরের উপরে নিম্নচাপের জেরে মৌসুমী বায়ু আরও সক্রিয় রাজ্যের দিকে এগোচ্ছে। আগামী কয়েক দিন দক্ষিণের তুলনায় উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি বেশি হবে।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবারই উত্তরবঙ্গ, সিকিম এবং কলকাতা-সহ গাঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গেল। এ দিন সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘলা। সঙ্গে দফায় দফায় বৃষ্টিও হচ্ছে। বুধবারই দক্ষিনপূর্ব বঙ্গপোসাগরে ঘনীভূত গভীর নিম্নচাপ থেকে বয়ে আসা জলভরা মেঘ প্রান জুড়িয়েছিল খড়গপুর মেদিনীপুর সহ সংলগ্ন এলাকায়। বৃহস্পতিবার তার রেশ থেকে গিয়ে ফের বৃষ্টিতে ভিজেছিল সারা দক্ষিনবঙ্গ শুক্রবার তারই রেশ ধরে সকাল ৯টা নাগাদ ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নামে গ্রামীন ও শহর খড়গপুর সহ বেলদা, দাঁতন,সবং, পিংলা, নারায়নগড়, কেশিয়াড়ী,মেদিনীপুর, শালবনী, চন্দ্রকোনা, গড়বেতা, ঘটালেও। বর্ষার ঘন কালো মেঘ এদিন ছেয়ে রয়েছে সমগ্র দক্ষিনবঙ্গের মাথাতেই। বর্ষার ভ্যাপসা আর্দ্রতা জনিত গরম যথারীতি বহাল রয়েছে।

আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাস ওয়েদার রিপোর্ট অনুযায়ী আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ডিগ্রি সেলসিয়াস ৮৩% আর্দ্রতার কারনে যা মালুম হচ্ছে ৩৯ডিগ্রির মত। দিনের সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ১৪কিলোমিটার প্রতিঘন্টায়। যা বিকাল ৫টা নাগাদ অনুভব হতে পারে। নির্ঘন্ট মোতাবেক বিকেল ৬টা ২৫মিনিটে সূর্যাস্ত হওয়ার কথা থাকলেও বিকাল ৫টা ১৪মিনিট অবধি সূর্যালোক থাকার কথা।                        ছবি সৌজন্য: কৃষ্ণা করগুপ্ত পাত্র

RELATED ARTICLES

Most Popular