Homeএখন খবরকুলতলিতে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, গ্রেফতার অভিযুক্ত

কুলতলিতে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, গ্রেফতার অভিযুক্ত

ওয়েব ডেস্ক : দিনকয়েক আগেই উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। সেই আগুন জ্বলেছিল এরাজ্যেও। ঘটনার প্রতিবাদে চলেছে একাধিক বিক্ষোভ মিছিল। এমনকি হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন খোদ এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশের এই নির্মম ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এরাজ্যেও ঘটে গেল এক পাশবিক ঘটনা। এক নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। শনিবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতুলি থানার মেরিগঞ্জ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নোয়াপাড়া গ্রামে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরে স্থানীয়রা দূর থেকে নদীর চরে কাউকে পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসেন। সেসময় রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় নাবালিকাকে চরের উপর পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। এরপর দেরি না করে তাঁরাই নাবালিকার পরিবারের লোকদের খবর দেন। এদিকে সকালে উঠে মেয়েকে না দেখতে পেয়ে ততক্ষণে খোঁজ শুরু করেছেন ওই নাবালিকার পরিবারের লোকেরা। সেসময় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়েই নাবালিকার পরিজনেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্যাতিতা নাবালিকাকে উদ্ধার করেন। এরপরই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে জয়নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনায় অভিযোগ, শনিবার ভোর রাতে জোর করে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নদীর চরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। তারপর সেখানেই ওই নাবালিকাকে ফেলে রেখে চলে যায়। এমনকি ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণে মারার হুমকিও দেয়। ঘটনায় পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোররাতে শৌচালয়ে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। সেই সময় নদীতে জাল ফেলতে যাচ্ছিল অভিযুক্ত শামসুল ঘরামি। সেসময় নাবালিকাকে একা পেয়ে আচমকা তার মুখ চাপা দিয়ে জোর করে তাকে নদীর চরে নিয়ে যায়। তারপর সেখানেই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত মৎসজীবি। এই ঘটনায় দেরি না করে দ্রুত কুলতুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তৎপর হয় পুলিশ। এরপর মাত্র কয়েকঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত শামসুল ঘরামি নামে ওই মৎসজীবিকে গ্রেফতার করে কুলতলি থানার পুলিশ।

RELATED ARTICLES

Most Popular