Homeএখন খবরমণীশ শুক্ল খুনে শাসকদলের ২ বিধায়কের নাম নিয়ে কাঠগড়ায় তুললেন ব্যারাকপুরের বিজেপি...

মণীশ শুক্ল খুনে শাসকদলের ২ বিধায়কের নাম নিয়ে কাঠগড়ায় তুললেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং

ওয়েব ডেস্ক : গত রবিবার বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের পর থেকেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ছায়াসঙ্গীর মৃত্যুর পর থেকে একাধিকবার মণীশ খুনে পুলিশ-তৃণমূল যোগসূত্রের কথা বলেছেন ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং। শনিবার সরাসরি শাসকদলের ২ বিধায়কের নাম নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি ওই দুই বিধায়কের নাম নিয়ে বলেন, পানিহাটির বিধায়ক তথা পানিহাটি পুরসভার মুখ্য প্রশাসক নির্মল ঘোষ মণীশকে খুনের চক্রান্ত করেছেন।

এখানেই থামেননি অর্জুন সিং। তিনি এদিনও ফের পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, তৃণমূল পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মণীশকে খুন করেছে। তবে শুধুমাত্র নির্মল ঘোষ নয়, একই সাথে এদিন মণীশ খুনে ব্যারাকপুরের দীর্ঘ কয়েকবারের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্তকেও কাঠগড়ায় তুললেন অর্জুন সিং। পাশাপাশি এদিন তিনি দাবি করেন, মণীশ যে খুন হবেন সে খবর নির্মল ঘোষের কাছে আগে থেকে ছিল। তিনিই ষড়যন্ত্র করে পুলিশের সাথে হাতমিলিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় মণীশের খুন করিয়েছেন। তবে শুধুমাত পুলিশ কিংবা শাসকদলের বিধায়ক নয়, অর্জুন সিংয়েত দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মণীশ খুনে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন CID গোয়েন্দারা। সে কারণেই যারা প্রকৃত অপরাধী এখনও পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার না করে চুনোপুঁটিদের পিছনে পড়ে রয়েছে। এদিকে মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় শাসকদলের তরফে আগামী মঙ্গলবার ১৩ অক্টোবর ব্যারাকপুর-টিটাগড় পর্যন্ত শান্তি মিছিল করবে তৃণমূল

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার যখন গেরুয়া শিবিরের নবান্ন ঘেরাওকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কলকাতা – হাওড়া, সেসময় উত্তর ২৪ পরগণার টিটাগড় পুরসভায় জরুরি বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সূত্রের খবর, ওই দিনের বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, টিটাগড় পুরসভার চেয়ারপার্সন প্রশান্ত চৌধুরী সহ এই একাধিক নেতৃবৃন্দ। এদিন বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “১৩ অক্টোবর ব্যারাকপুর থেকে টিটাগড় এলাকায় এক লক্ষ লোকের শান্তিমিছিল হবে। এলাকায় আর অশান্তি চলবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।” তবে যেহেতু মণীশ শুক্ল খুনে প্রথম থেকেই তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে গেরুয়া শিবির, সে অনুযায়ী দুই দলের শান্তিমিছিল ঘিরে ফের টিটাগড় অঞ্চলে উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা কোনোভাবেই উড়িয়ে দিচ্ছেনা রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

RELATED ARTICLES

Most Popular