Homeএখন খবরফের হেফাজতের মেয়াদ বাড়ালো সেশন কোর্ট, ২০ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে...

ফের হেফাজতের মেয়াদ বাড়ালো সেশন কোর্ট, ২০ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে রিয়া-শৌভিককে

ওয়েব ডেস্ক : বিচারবিভাগীয় হেফাজতের শেষদিন ফের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর হেফাজতের মেয়াদ বাড়ালো সেশন কোর্ট।
ফলে আপতত মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেলেই বন্দি থাকতে হবে সুশান্ত মৃত্যু মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে। মঙ্গলবার ৬ অক্টোবর সুশান্ত মৃত্যু মামলায় রিয়া, শৌভিক সহ মাদককান্ডে জড়িত ১৮ জনের বিচারবিভাগীয় কাস্টডির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী এদিন বিশেষ এনডিপিএস আদালত বসে। কিন্তু এদিনের বিশেষ আদালতে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও শৌভিক চক্রবর্তীকে হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে আরও ১৪ দিন করা হল। অর্থাৎ আপাতত ২০ অক্টোবর পর্যন্ত মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেলেই থাকতে হবে রিয়াকে। শৌভিককে থাকতে হবে তালোজা জেলে। তবে শুধু রিয়া-শৌভিকঈ নয়, একউ সাথে এদিন সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত, এদের প্রত্যেকেরই বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে সেশন কোর্ট।

সুশান্তের মৃত্যু মামলার তদন্তে নেমে মাদকযোগের হদিশ পেয়ে তদন্ত শুরু করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো(NCB)। কয়েকদিন টানা জেরার পর অবশেষে গত ৮ সেপ্টেম্বর রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এদিকে সুশান্তের জন্য মাদক সংগ্রহ করা ও আর্থিক লেনদেনের জন্য আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল শৌভিক। এর জেরে এনডিপিএস আইনের ২৭ (এ) ধারায় দুই ভাই-বোনের বিরুদ্ধে NCB-র তরফে মামলা দায়ের করেছে। এর মাঝেই রিয়া শৌভিকের আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে সেশন কোর্টে তাদের জামিনের আবেদন করলে তা আগেই খারিজ হয়েছে। কিন্তু সেখানেভথেমে না থেকে এরপর জামিন চেয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত ভাই-বোনের আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে।

এদিকে এবিষয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বম্বে হাইকোর্টে প্রায় ৭ঘন্টা যাবৎ জাস্টিট এস পি কোটওয়াল বেঞ্চে রিয়া-শৌভিকের জামিনের শুনানি চলে৷ এদিনের শুনানিতে NCB-র তরফে অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে এনসিবির তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, যেহেতু রিয়া চক্রবর্তী ও শৌভিক চক্রবর্তী মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য, ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের সাথে যেমন হাই সোসাইটির ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে একই সাথে এরা মাদক পাচারকারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে৷ ফলে তদন্ত চলাকালীন এদের জামিন দেওয়া হলে তাঁরা তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে পারে। এতে তদন্তের গতিকে বাধাপ্রাপ্ত করবে। গত বুধবার, বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি নিজের রায় সংরক্ষিত রেখে জানান, “আমি দ্রুত এই শুনানির রায় দানের চেষ্টা করব। তবে আপনারা যেমনটা জানেন এই মামলা অনেক গভীর এবং অনেক বিষয় আলোচনা করার দরকার রয়েছে। আপনারা সকলে ভালো সওয়াল-জবাব করেছেন।”

RELATED ARTICLES

Most Popular