Homeরাজ্যউত্তরবঙ্গপদ্ম শিবিরের হয়ে ভোটে লড়বেন মিঠুন চক্রবর্তী? কৈলাসের মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে

পদ্ম শিবিরের হয়ে ভোটে লড়বেন মিঠুন চক্রবর্তী? কৈলাসের মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে

নিউজ ডেস্ক: মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির সুরক্ষা পান। বিজেপি-তে যোগদানের দু’দিন পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই সুরক্ষা দেওয়া হল তাঁকে। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসএফ)।

কিছুদিন আগে মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন, “নির্বাচনী লড়াইয়ে আগ্রহী নই। তবে মোদীর হাত শক্ত করতে চাই।” তবে এ যেন একেবারে উল্টো পুরান। অন্তত ইঙ্গিত তেমনটাই বলছে। বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়াতে পারেন মিঠুন চক্রবর্তী, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শুক্রবার শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘যোগদানের আগে যখন মিঠুন দার সঙ্গে কথা হয়েছিল তখন উনি ভোটে লড়তে আগ্রহী ছিলেন না৷ কিন্তু দল যদি চায় এবং মিঠুন দা যদি রাজি থাকেন তাহলে তিনি প্রার্থী হতেই পারেন।‘ এ বিষয়ে মিঠুন দার সঙ্গে কথা বলতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷’কৈলাস এদিন আরও জানিয়েছেন, গোটা এপ্রিল মাসে কোনও শ্যুটিং রাখেননি মিঠুন, যাতে তিনি বিজেপি-র হয়ে প্রচার করতে পারেন৷ দল যেখানে পাঠাবে, সেখানেই প্রচারে যেতে মিঠুন রাজি বলেও দাবী করেছেন বিজেপি নেতা। আর এই মন্তব্যেই ফের জল্পনা তুঙ্গে।

অনেকদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছে বিজেপির মুখ কে?। অন্যদিকে শুরু থেকেই বিজেপি জানিয়েছিল, অন্য কেউ নন বাংলার ভূমিপুত্রই বিজেপির মুখ হতে চলেছে। তবে সে কে তা স্পষ্ট করেনি বিজেপি। আর এবার কৈলাসের মন্তব্য জল্পনা ফের উস্কে দিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানাননি।

প্রসঙ্গত, গত ৭ মার্চ ব্রিগেডে মেগা সভা করে বিজেপি। ওই সভাতেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সোনার বাংলা তৈরির আশ্বাস দেন। একটা সময় তৃণমূলের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্তকে ভুল বলে স্বীকার করেন তিনি। ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি সরকারের। সেদিন মোদি আসার আগেই ব্রিগেড মঞ্চে পৌঁছে যান মিঠুন। ধুতি-পাঞ্জাবি পড়ে একেবারে বাঙালিবাবু সেজে উপস্থিত হন তিনি। আর প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড মঞ্চে পৌঁছানোর কয়েক মুহূর্ত আগেই দলীয় পতাকা হাতে তুলে পাকাপাকি ভাবে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান মিঠুন। এরপর মঞ্চে উঠে নিজ অভিনীত চলচিত্রের বেশ কয়েকটি সংলাপ আওড়াতেও শোনা যায় তাকে। যোগদানের পরই মিঠুনের বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়। যদিও প্রথম থেকেই এবিষয়ে মুখ খোলেননি মিঠুন। বিজেপির তরফেও সেঅর্থে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে এদিনের কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যে মিঠুনের প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা আরও তীব্র হল।

RELATED ARTICLES

Most Popular