Homeএখন খবরনির্বাচনের আগে ত্রাতা রাজ্য সরকার, সরকারি জমিতে বসবাসকারী ১১৯টি কলোনির বাসিন্দাদের রায়তি...

নির্বাচনের আগে ত্রাতা রাজ্য সরকার, সরকারি জমিতে বসবাসকারী ১১৯টি কলোনির বাসিন্দাদের রায়তি অধিকারের দেবে রাজ্য

ওয়েব ডেস্ক : আর মাত্র সাত মাসের অপেক্ষা, তারপরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলির তরফে শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্ব। এদিকে নির্বাচনের আগেই বড় ঘোষণা করলেন রাজ্য সরকার। ১৯৭১ সালের আগে থেকে এরাজ্যে এসে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জমিতে বসবাস করতে শুরু করেছিল বহু মানুষ। ধীরে ধীরে সেখানেই কলোনি তৈরি হয়েছে। এরকম ১১৯টি কলোনির বাসিন্দাদের, তাদের বসবাস করা সমস্ত জমির রায়তি অধিকার তাদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভূমি দফতর। এদিকে নির্বাচনের প্রাক্কালে আচমকা রাজ্য সরকারের এমন সিদ্ধান্ত, আদতে যে এই সমস্ত ভোটগুলিকে হাতের মুঠোয় করে নেওয়া স্বাভাবিকভাবেই তা মনে করছেন বিরোধিরা।

এদিকে এতো বছর এরাজ্যে বাস করলেও এতদিন মাথার ওপর ছাদের স্বীকৃতি পায়নি তারা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্বীকৃতি পেলে অনেকটাই নিশ্চিন্ত বোধ করবে স্থানীয় বাসিন্দারা। চলতি বছর ৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভার ৭১তম বৈঠকে এই নীতিতে চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। তবে কলোনির বাসিন্দাদের জমির অধিকার দেওয়া হলেও তাদের যে শর্তে রায়তি অধিকার দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে বেশকিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই ভূমি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে,একসময় পূর্ব পাকিস্তান থেকে বহু মানুষ এই রাজ্যে এসেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে তারা এখানেই সরকারি জমিতে বসতি স্থাপন করে থাকতে শুরু করেছিলেন। বর্তমানে সরকার তাঁদের ‘উদ্বাস্তু’ হিসাবে মেনে নিয়েছে। এর ফলে বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জমিতে বসবাসকারী ১১৯টি কলোনিতে থাকা বাসিন্দাদের হাতে জমির ‘ফ্রি হোল্ড টাইটেল ডিড’ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

তবে এই ফ্রি হোল্ড টাইটেল ডিডের যে চুক্তিপত্র সরকার প্রকাশ করেছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের আগে যাঁরা এই রাজ্যে এসে সরকারি জমিতে বসবাস করছিলেন, তাঁদের জমির কাগজপত্র পাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু ১৯৭১ সালে যাঁরা এই রাজ্যে এসে কলোনি তৈরি করেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী তারাও বর্তমানে এই দেশেরই নাগরিক। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে এই সমস্ত মানুষদেরও জমির অধিকার দেওয়া হবে কিনা, স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

RELATED ARTICLES

Most Popular