Homeএখন খবর২রা মে ভোটের ফল বেরুলে যদি ব্যবস্থা নিতে হয়! শাসক দলের তারকা...

২রা মে ভোটের ফল বেরুলে যদি ব্যবস্থা নিতে হয়! শাসক দলের তারকা প্রার্থীর চোখে চোখ রেখে নিজের নাম আর পদ আগাম জানিয়ে দিলেন সাব ইন্সপেক্টর

অশ্লেষা চৌধুরী: “মাই নেম ইস এন মন্ডল, সার্কেল সাব ইনস্পেক্টর,” একেবারে তৃণমূল তারকা প্রার্থীর চোখে চোখ রেখে হুঁশিয়ারি দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো জুটেছে সিংঘমের তকমা। রাতারাতি ভাইরাল সাব ইনসপেক্টর নিত্যানন্দ মন্ডল। সোমবার বঙ্গে ভোট সপ্তমী চলাকালীন বার্নপুরে সোনামাটি স্কুল বুথের সামনের এই ঘটনা্র ভিডিও বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।

সোমবার ভোট চলাকালীন আসানসোল দক্ষিণের বার্নপুরে সোনাতরী স্কুলের বুথে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান তৃনমূলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ। এদিন বুথের কাছে ক্যাম্প অফিসে তৃণমূল জমায়েত করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেইসময় পুলিশ লাঠি চার্জ করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

পুলিশ তখন প্রার্থীর সঙ্গে এত লোক দেখে তার প্রতিবাদ করেন। সায়নীকে তিনি বলেন, “আগে ভিড় সরান, আপনি প্রার্থী তো আমি কী করবো। এখানে বুথ জ্যাম করার অভিযোগ উঠছে।” সায়নি কিছু বলতে চাইলেও থেমে না গিয়ে সদর্পে পুলিশ কর্মকর্তা বলতে থাকেন, ‘আগে আপনি ভিড় সরান, তারপর আপনার সঙ্গে কথা বলব।’ সায়নী প্রশ্ন করেন, “আপনি কে?” সেই সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা একেবারে সায়নীর দিকে ঘুরে, বুক ফুলিয়ে, চোখে চোখ রেখে বলেন, “মাই নেম ইস এন মন্ডল-নিত্যানন্দ মন্ডল, সার্কেল সাব ইনসপেক্টর। সেই সময় সায়নী আর কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।

তবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সায়নী অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ইচ্ছে করে ভোট ডিস্টার্ব করা জন্য চেষ্টা করছে। তাদের দুজন ছেলেকে মিথ্যে অভিযোগে অভিযুক্ত করছেন। এই মুহূর্তে পুলিশের লাঠি চার্জের কোনও এক্তিয়ার নেই, অনৈতিক ভাবে পুলিশ লাঠি চার্জ করছে। ভোট নষ্ট করার চেষ্টা করছে পুলিশ বলেই অভিযোগ করেন সায়নী। তাঁর আরও অভিযোগ বিজেপির লোকেদের বাধা দেওয়া হচ্ছে না, কেবল তৃণমূলকেই বাধা দেওয়া হচ্ছে।

বুথ জাম করা হচ্ছে বলে পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে সায়নী বলেন, কেনা গোলামের মতো কাজ করছে পুলিশ, এখানে বুথ জাম করার কোনও ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় পুলিশের মুখে যা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তিনি তাই বলছেন। পুলিশ কেনা গোলামের মত ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন সায়নী। ২রা মে’র পর সব জবাব স্থানীয় পুলিশ পাবে বলেও এদিন সায়নী হুঁশিয়ারি দেন।

তবে ২’ রা মে যাই হোক, ২৬ এপ্রিল রাত থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছেন এন মন্ডল। তাঁর সাহসিকতা অনেককেই বলিউডের সিংঘমের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এক ব্যবহারকারী এই ভাইরাল ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, “পুলিশ অফিসারকে বাস্তবের সিংঘম মনে হল, বহুদিন পরে রাজ্য পুলিশের কাউকে দেখে স্যালুট করতে ইচ্ছা হল। মনে পড়ে সেই ৮০ দশকে ইন্দিরা গান্ধী নিয়ম ভেঙে গাড়ি রাস্তার মাঝে রেখেছিলেন, ইন্দিরা গান্ধী গাড়ি তুলে সেখান থেকে সরিয়ে রাখার সেই সময় সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন সেই সময়ের প্রথম মহিলা আইপিএস অফিসার কিরণ বেদী কোনও রকম ভয় না করে নিজের কর্তব্য করে গেছিলেন, আজ নিত্যানন্দ মণ্ডলকে দেখে ঠিক তাই মনে হল। শাসক দলের কোনও চাটুকারিতা না করে শাসক দলের প্রার্থীকেও তোয়াক্কা না করে নিজের ডিউটি নিষ্ঠা ভাবে করে যেতে। সব পুলিশ অফিসার আজও বিক্রি হয় না।“ পাশাপাশি অনেকেই এন মন্ডলকে স্যালুট জানিয়েছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular