Homeএখন খবরনিজের কার্যালয় থেকে মমতার ছবি সরালেন তৃণমূল বিধায়ক

নিজের কার্যালয় থেকে মমতার ছবি সরালেন তৃণমূল বিধায়ক

ওয়েব ডেস্ক : বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলা ও ব্লক কমিটিতে সাংগঠনিক রদবদল করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কোচবিহারে তৃণমূলের অন্দরে চাপানোতরের সৃষ্টি হয়েছে। এরপরই চলতি মাসের ৩ তারিখ দলের সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তবে পদ থেকে ইস্তফা দিলেও এখনও খাতায় কলমে বিধায়ক রয়েছেন মিহিরবাবু। তবে শুধু যে তিনি পদ ছেড়েছেন তাও কিন্তু নয়। নাম না করে প্রশান্ত কিশোরের আই–প্যাক সংস্থাকে উদ্দেশ্য করে একাধিক মন্তব্য করেছেন মিহির গোস্বামী। তার মতে সংগঠন শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ঠিকাদার সংস্থাকে নিয়োগ করলে কখনই সংগঠন শক্তিশালী হয় না বলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন মিহিরবাবু।

বেশ কিছুদিন যাবৎ মিহির গোস্বামী-র এই সকল মন্তব্য যখন রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি করেছে সেই সময় কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। পুরনো ব্যানার সরিয়ে কার্যালয়ের সামনে নতুন ব্যানারে লেখা হল, কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর কার্যালয়। এমনকি এই কার্যালয়ের ভেতরে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে সেখানে স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মনীষীদের ছবি লাগানো হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে কি দল ছাড়ছেন তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী?

সেই সন্দেহও কিন্তু একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, তৃণমূল থেকে বেরিয়ে খুব শীঘ্রই বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন মিহির গোস্বামী। সে অনুযায়ী ইতিমধ্যেই বিজেপি’‌র সহ–সভাপতি মুকুল রায়ের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগও হয়েছে একাধিকবার। যদিও সেকথা অবশ্য কেউই স্বীকার করেননি। এদিকে কোচবিহারে মিহির গোস্বামীর সঙ্গে বিপুল পরিমাণ কর্মী–সমর্থক রয়েছেন। সেক্ষেত্রে তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালে স্বাভাবিকভাবেই তাঁরাও বিধায়কের সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দেবেন। সূত্র মারফত খবর অনুযায়ী সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে প্রাথমিক আলোচনাও হয়ে গিয়েছে। তবে কবে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত দিনক্ষণ স্থির না হলেও মনে করা নির্বাচনের আগেই দলবদল করতে পারেন তৃণমূলের এককালের প্রথম সারির সৈনিক মিহির গোস্বামী৷ তবে মিহির গোস্বামী ও তাঁর কর্মী সমর্থকদের দলবদলের সিদ্ধান্ত যদি সত্যি হয় তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল অনেকটাই চাপের মুখে পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

RELATED ARTICLES

Most Popular