Homeএখন খবরঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার হুমকি তারকেশ্বরের তৃণমূল নেতার, অপমানে...

ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার হুমকি তারকেশ্বরের তৃণমূল নেতার, অপমানে আত্মঘাতী নাবালিকা প্রেমিকা

ওয়েব ডেস্ক : প্রেমিক বিবাহিত, জানতে পারায় সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল নাবালিকা প্রেমিকা। তাকে আটকাতে প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তারকেশ্বরের এক তৃণমুল নেতার বিরুদ্ধে। এদিকে প্রেমিকের এই অপমান সহ্য করতে না পেরে রবিবার বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে বছর ১৬-র ওই নাবালিকা। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের বিনোদবাটি এলাকায়। বর্তমানে ওই নাবালিকাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় প্রেমিকার পরিবারের তরফে প্রেমিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক ধরে ওই নাবালিকার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতা অমিয় ঘোষের। পাশের গ্রাম সালেপুরের ওই তৃণমূল নেতা বিবাহিত অথচ সেকথা লুকিয়ে দিনের পর দিন ওই নাবালিকার সাথে প্রেমের সম্পর্ক রেখে গিয়েছেন। শুধু তাই নয় মেয়েটিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাসও করেছে শাসকদলের ওই নেতা। কিন্তু কিছুদিন আগেই ওই নাবালিকা জানতে পারে তাঁর প্রেমিক বিবাহিত। শুধু তাই নয় তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। একথা জানতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়ে মেয়েটি। এরপর সে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু কিছুতেই সম্পর্ক ভাঙতে রাজি নয় অমিয় ঘোষ। অভিযোগ, সে সময় ওই যুবক তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এমনকি ওই নাবালিকার মা-ভাই ও বোনকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেয় শাসকদলের পঞ্চায়েত স্তরের নেতা অমিয় ঘোষ।

ঘটনায় ওই নাবালিকা প্রেমিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেমিক তাদের ঘনিষ্ঠ মূহুর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিলে সমাজে মুখ দেখাতে না পারার ভয়ে তার মধ্যে ছিল। একারণেই দিন কয়েক ধরেই কারো সাথে কথা বলছিল না। চুপচাপ থাকতো সবসময়। এরপর রবিবার রাতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মেয়েটি। ঘটনার পর নাবালিকার পরিবারের তরফে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর ওই প্রেমিকার পরিবারের তরফে রবিবার রাতেই তারকেশ্বর থানা এবং হুগলির পুলিশ সুপার এর কাছে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়। এই ঘটনায় শাসকদলের ওই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তিনি প্রেমের সম্পর্ক স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে আইনমাফিক ডিভোর্স হলে আর আমার প্রেমিকার বয়স আঠেরো হলেই তাকে বিয়ে করব বলেছিলাম। কখনই এমন কোনও হুমকি দেইনি। আমাকে ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে।’’ অন্যদিকে, ঘটনায় তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘এখানে দল কোনও বিষয় নয়। কেউ যদি দোষ করে তার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’’

RELATED ARTICLES

Most Popular