Homeএখন খবরবাঁকুড়ায় কালো ছত্রাকের কবলে পড়লেন মহিলা-সহ তিনজন

বাঁকুড়ায় কালো ছত্রাকের কবলে পড়লেন মহিলা-সহ তিনজন

নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক। এর মধ্যেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে  ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। বাদ নেই আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গও।  এবার বাঁকুড়ায় কালো ছত্রাকের কবলে পড়লেন মহিলা-সহ তিনজন। দু’জন আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আর একজনের চিকিত্‍সা চলছিল বাড়িতেই। বাঁকুড়ায় তিনজন করোনা আক্রান্তের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস পাওয়ার পরই স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন মেনে তাঁদের চিকিত্‍সা চলছে বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। আক্রান্তদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি বাঁকুড়ায়। যে মহিলার শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তিনি আসানসোলের বাসিন্দা।

জানা যায়, করোনার চিকিত্‍সা চলাকালীন ওই তিন জনের শরীরের ঢুকে পড়ে মারণ ছত্রাক। এরপর তাঁদের আনা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। রোগীদের পরীক্ষা করে রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হন হাসপাতালে চিকিত্‍সকরা।

এক দিন আগেই এক মহিলা খাস কলকাতায় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে মারণ ছত্রাকে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।  মৃতের স্বামী জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। আচমকাই শরীরের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ দেখা দেয়। চোখে ফুলে গিয়েছিল, নাক দিয়ে জল বেরোচ্ছিল। সঙ্গে চোখে ও মাথায় ব্যাথা। হাসপাতালে সূত্রে খবর, রোগীকে অ্যাম্পোটিরিসিন বি দিয়েও বাঁচানো যায়নি। পরিবারের দাবি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে ওই মহিলা।

উল্লেখ্য,পশ্চিমবঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।সেই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। স্বাস্থ্য ভবনের জারি করা গাইডলাইনে বলা হয়েছে-

ভালোভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ধুলো ও নির্মাণস্থলে গেলে সতর্ক থাকতে হবে।

বাগানে গেলে বড় হাতাওয়ালা জামা, বড় ট্রাউজার, জুতো, গ্লাভস পরতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

স্ক্র্যাবার দিয়ে ভালো করে শরীর ঘষে স্নান করতে হবে।

করোনা পরবর্তী ও ডায়বেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নজরে রাখতে হবে।

স্টেরোয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ সতর্ক হয়ে ব্যবহার করতে হবে।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় রেডিওডিয়াগোনোসিস, ইয়েরনাল মেডিসিন, ইএনটি, ম্যাক্সিলোফেসিয়াল, ইন্টারনাল মেডিসিন, ইনফেকশন ডিজিস, নিউরোলজিস্ট, ডেন্টিস্ট, প্লাস্টিক সার্জন,  অপথালমোলজিস্ট নিয়ে বোর্ড গঠন করতে হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular