Homeএখন খবরমুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই ঘরে আগুন তৃণমূলের, দুই গোষ্টির হাতাহাতি, জেলা সভাপতিই গোষ্টিদ্বন্দ্বের...

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই ঘরে আগুন তৃণমূলের, দুই গোষ্টির হাতাহাতি, জেলা সভাপতিই গোষ্টিদ্বন্দ্বের নায়ক বললেন ব্লক সভাপতি

দুই গোষ্টির লড়াইয়ের মাঝখানে জেলা সভাপতি 

নিজস্ব সংবাদদাতা: ৪৮ঘন্টার ব্যবধানে জেলায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আর তার আগেই গৃহদাহ শাসকদলে। খড়গপুর শহরে যখন মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি তখন মাত্র ৪০কিলোমিটার দুরে নারায়নগড়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল শাসকদল। মিছিল ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে কিন্তু মিছিলের মধ্যেই লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ল দুই গোষ্টি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শনিবার বিকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড় ব্লকে  তৃণমূলের জেলা সভাপতি সামনেই নজির বিহীন গোষ্টিদ্বন্দ্ব, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল কর্মীরা, চলল পারষ্পরিক অশ্রাব্য গালিগালাজও। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে স্থান ত্যাগ করেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। অন্যদিকে এই যাবতীয় বিশৃংখলা ও দ্বন্দ্বের জন্য জেলা সভাপতিকেই দায়ী করলেন নারায়নগড় ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ্র।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়নগড় ব্লক এলাকা জেলার অন্য ব্লকগুলির চেয়ে গোষ্টি কোন্দলে এক কদম এগিয়ে। ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ্র বনাম প্রাক্তন জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ সূর্যকান্ত অট্ট এই দুই গোষ্টি রয়েছে এখানে। লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভাক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্প্রতি এই গোষ্টিদ্বন্দ্ব সামাল দিতে ব্লক কমিটিকে দুটি ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু নারায়নগড় আর বেলদা দুটি থানা রয়েছে এই ব্লকে। তাই ঠিক হয়েছে থানা ভিত্তিক দুটি পৃথক কমিটি তৈরি হবে। নারায়নগড় থানা নিয়েই আপাতত তাই তৈরি হয়েছে নারায়নগড় থানা সাংগঠনিক কমিটি। যার আহ্বায়ক বিমল ভূঞা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্প্রতি ‘কাটমানি’কে কেন্দ্র করে বিপর্যস্ত নারায়নগড় ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস। একাধিক নেতা কাটমানিতে অভিযুক্ত হয়ে সাধারনের কাছে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এলাকার তৃনমূলের মনোবল যখন তলানিতে ঠেকেছে তখনই রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে দলের জয়কে সেলিব্রেট করার জন্য শনিবার মিছিলের আয়োজন করা হয়। শুরুতে মিছিলের উদ্যোক্তা ছিল নারায়নগড় থানা সাংগঠনিক কমিটি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এর একটা প্রধান কারন ছিল এই কমিটির সদস্যরা খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে বিমল ভূঞার নেতৃত্বে খড়গপুর শহরে গিয়ে প্রায় তিনমাস পরিশ্রম করে প্রার্থী প্রদীপ সরকারের হয়ে কাজ করে। স্বভাবতই সেই জয়কে সেলিব্রেট করার জন্য তারাই এই মিছিল সংঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেই জয়ের জন্য নারায়ণগড় এলাকায় এলাকার সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি, এনআরসির প্রতিবাদে মিছিলের আয়োজন করা হয়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সেইমতো তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা জড়ো হয় মিছিলের জন্য।কিন্তু মিছিল শুরু হওয়ার আগেই এলাকার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মিছিলের ব্যানার কে লাগানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা।এক পক্ষের দাবি যেহেতু ব্লক ভিত্তিক এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে, সেহেতু ব্লক ভিত্তিক ব্যানার দিতে হবে মিছিলে। কিন্তু আরেক পক্ষের দাবি যেহেতু মিছিল তারাই উদ্যোগ নিয়ে শুরু করেছে  তাই তৃণমূল কংগ্রেসের থানা সাংগঠনিক কমিটির নামে ব্যানারেই হবে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী। এরপরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় ।পরে ঘটনাস্থলে আসে নারায়ণগড় থানার পুলিশ। পরে ঠিক হয় দুটো ব্যানার রেখেই কর্মসুচী হবে । মিছিল কিছুটা এগুলে উপস্থিত হন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি  । তার সামনেই আবারও দুইপক্ষের কর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে । জেলা সভাপতি সামনে শুরু হয পারস্পারিক গালিগালাজ । জেলা সভাপতি দুপক্ষকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে অন্য জায়গায় কর্মসূচি আছে বলে বেরিয়ে যান তিনি ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মিহির চন্দ্র সরাসরি জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকে দায়ী করে বলেন, ”আমার মনে হয়েছে সমগ্র ঘটনার পেছনে রয়েছে জেলা সভাপতিরই ইন্ধন। নারায়নগড় এলাকায় গোষ্টিদ্বন্দ্বের পেছনে জেলা সভাপতির মদত রয়েছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানাব।”  আসলে ব্লক কমিটি ভেঙে পৃথক থানা কমিটি তৈরির সিদ্ধান্তকেই এই দ্বন্দ্বে মদত দেওয়া বলেই ইঙ্গিত করেছেন চন্দ্র।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অন্যদিকে জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, ‘মিহিরবাবু কি বলেছেন আমি জানিনা। বিষয়টি দলের মধ্যে আলোচনার পর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেব।”
আগামী ৯তারিখ খড়গপুর বিজয় উপলক্ষ্যে খড়গপুর শহরবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে খড়গপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার আগেই এই প্রকাশ্য কোন্দল যথেষ্ট বিপাকে ফেলেছে দলকে। পাশাপাশি এটাও প্রমানিত হয়ে গেছে যে তৃনমূল আছে তৃণমূলেই।  

RELATED ARTICLES

Most Popular