Homeএখন খবরদক্ষিন ২৪পরগনায় এলাকা দখল নিয়ে তৃনমূল এসইউসিআই সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুট, নিহত...

দক্ষিন ২৪পরগনায় এলাকা দখল নিয়ে তৃনমূল এসইউসিআই সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুট, নিহত ২

কলকাতা ব্যুরো: করোনায় চাল লুট,আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা লুট আর বর্তমানে ত্রিপল লুট, এই লুটের রাজত্ব দক্ষিন ২৪পরগনা এবার কেঁপে উঠল বোমা বন্দকু আর আর্ত মানুষের চিৎকারে। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া তৃণমূল ও এসইউসিআই এর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি। এমনিতেই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে প্রায়শই অশান্তির সৃষ্টি হয়ম শুক্রবার রাতে তা চরমে ওঠে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ দু’দলেই রয়েছে এলাকার তাবড় তাবড় সমাজ বিরোধীরা। তাঁদের সম্বল করেই দুপক্ষের নির্বিচার সংঘর্ষের জেরে খুন হতে হয় দুই দলেরই দুই কর্মীর।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সাতসকালে ফের এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়৷ ঘটনায় দু’দলের দুই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত হয়েছেন শাসকদলের কর্মী অশ্বিনী মান্না এবং এসইউসিআই জেলা কমিটির সদস্য সুধাংশু জানা। আহত হয়েছেন প্রায় ৩ জন। ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি তাদের বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়।

এসইউসির অভিযোগ, অশ্বিনী মান্না নামে শাসকদলের এর কর্মী শুক্রবার রাতে দলবল নিয়ে কুলতলি গ্রামের কয়েকজন এসইউসিআই সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযোগ মধ্যরাতে বাড়িতে ঢুকে প্রায় ১০-১৫ টি বাড়িতে লুটপাট, ভাঙচুর চালানো হয়। চলে অগ্নিসংযোগও। প্র‍তিবাদ করলে কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। এর জেরে জখম হন ৬ জন এসইউসিআই কর্মী। ঘটনার পর রাতেই তাদের বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ভোলানাথ গিরি নামে এক তৃণমূল কর্মীও রয়েছেন। তিনি গুরুতর জখম হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

এদিকে শুক্রবার রাতের পর শনিবার সকালে ফের উত্তপ্ত হয় গোটা এলাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের বেশ কয়েকজন সদস্য এদিন সকালে এসইউসিআই জেলা কমিটির সদস্য সুধাংশু জানাকে বাড়ি থেকে বের করে মেরে বাড়ির সামনে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় এসইউসিআই-এর প্রাক্তন বিধায়ক জয়কৃষ্ণ হালদারের অভিযোগ, ঘটনার সময় এলাকায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা গণেশ মণ্ডল। তার পরিকল্পনাতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে জয়নগরের প্রাক্তন এসইউসিআই সাংসদ তরুণ মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, ”ওই এলাকার পঞ্চায়েতের দখল কার উপর থাকবে, তা নিয়ে ঝামেলা। আমফান দুর্নীতি নিয়ে যাতে আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় মুখ খুলতে না পারে, তার জন্য এই খুনোখুনি করেছে তৃণমূল।” এদিকে এই ঘটনার পর শনিবার সকালেই এলাকার মানুষজন শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেই সময় স্থানীয়দের গণপিটুনিতে খুন হয় যুব তৃণমূল কর্মী অশ্বিনী মান্না।

এদিকে গোটা ঘটনাটাই পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি শাসকদলের। তৃণমূলের অভিযোগ, মৈপিঠ পঞ্চায়েতের দখল নিতে এসইউসিআই এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি গণেশ মণ্ডল বলেন,”অশ্বিণী মান্না এলাকার জনপ্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। তিনি খুন হতেই এলাকার মানুষের জনরোষ গিয়ে পড়ে সুধাংশু জানার বাড়িতে। এলাকার মানুষকে পিটিয়ে খুন করেছে তাঁকে। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।” ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে গোটা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুপক্ষের তরফেই মৈপিঠ কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করা করেছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular