নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা ভাইরাস মারতে পারে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। এমন প্রেসক্রিপশন সোশ্যাল মিডিয়ায় আকছার ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদিও ওই ওষুধ যে করোনার প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে এমন দাবি চিকিৎসা বিজ্ঞানের তরফ থেকে এখনও করা হয়নি। কিন্তু করানোর ভয়াবহ আতঙ্কে গ্রাসে সারা বিশ্ব। মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। আর সেই আতঙ্কেই হিতাহিত জ্ঞানশুন্য অনেকে। দেশি টোটকা থেকে অবৈজ্ঞানিক দাওয়াই , যে যার মত করে গিলছে। আর সেরকমই এক অবৈজ্ঞানিক ধারনার বশবর্তী হয়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ খেয়ে অসমে এক চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জানা গেছে করোনার আগাম সর্তকতা হিসাবে ম্যালেরিয়ার ওষুধ খাচ্ছিলেন।
সংবাদসুত্র জানিয়েছে, এই চিকিৎসক শনিবার অসমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর সেই মৃত্যু নিয়েই সন্দেহ দানা বাঁধছে। এখনও অবধি কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে যে,যাতে তিনি করোনায় আক্রান্ত না হন, সেইজন্য তিনি ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খাচ্ছিলেন । এরফলেই নাকি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন।জানা গেছে ওই ওষুধ অবশ্য করোনা আক্রান্তদেরও দেওয়া হয়ে থাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎপলজিৎ বর্মন নামে ৪৪ বছরের ওই চিকিৎসক এক জন অ্যানাস্থেটিস্ট। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন। মনে করা হচ্ছে, আগাম সতর্কতা নিতে গিয়ে, নিজেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খেয়েছিলেন তিনি। আর এর পরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন উৎপলজিৎ। ওষুধ খাওয়ার পর তিনি যে অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেছিলেন তা হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সহকর্মীদেরও জানান।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (আইসিএমআর) ওষুধটিকে অনুমোদন দিয়েছে। বলা হয়েছে, করোনা রোগীর চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য ওই ওষুধটি খেতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ওই ওষুধ খাওয়ার কথাও বলেছে আইসিএমআর। তবে মৃত চিকিৎসক কোনও করোনা রোগীর চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলেও জানা গিয়েছে।
সারা দেশে করোনার রোগীর সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু অসমে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত নেই। তা সত্ত্বেও কেন ওই চিকিৎসক হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন জাতীয় ওষুধ খেতে গেলেন তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর শুধুই কী হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নাকি অন্য আরও কোনও কারন রয়েছে খোঁজা হচ্ছে তাও।