Homeএখন খবরইসিএলের কয়লা টেন্ডার নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব , গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন তৃণমূলকর্মী

ইসিএলের কয়লা টেন্ডার নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব , গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন তৃণমূলকর্মী

ওয়েব ডেস্ক : ইসিএলের কয়লা টেন্ডার নিয়ে বিবাদের জেরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ। এর জেরে খুন হতে হল ধরমবীর নুনিয়া নামক এক তৃণমূল কর্মীকে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের অন্ডালে। ঘটনায় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইসিএলের কয়লা টেন্ডার কার আয়ত্তে থাকবে এই নিয়ে বহুদিন যাবৎ পূর্ব বর্ধমানের জেলা পরিষদের সদস্য বিষ্ণুপদ নুনিয়ার সঙ্গে জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি রূপেশ যাদবের বিবাদ লেগেই রয়েছে। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের অন্দরে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই বুধবার খুন হতে হল অন্ডালের তৃণমূলকর্মী ধরমবীর নুনিয়াকে।

জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ অন্ডালের খাস কাজোরা এলাকায় বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন ধরমবীর নুনিয়া ও তাঁর দুই সাগরেদ। তাঁরা তিনজনই তৃণমূলকর্মী। সে সময় একটি বাইকে করে দুষ্কৃতীরা এসে আচমকা ধরমবীরকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি ছোড়ে। সগুধু তাই নয়, দুষ্কৃতিদের সাথে থাকা রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে অন্য দু’‌জনকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এদিকে ঘটনাটি স্থানীয়দের নজরে আসতেই তারা ছুটে আসে। লোকজন ছুটে আসছে দেখে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর স্থানীয়দের তরফে ধরমবীর সহ বাকি দু’জনকে দ্রুত দুর্গাপুর বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ধরমবীরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে অন্য দুই তৃণমূলকর্মী প্রাণে বঁচে গেলেও আশঙ্কজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলেই চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে। ‌এ ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে স্থানীয় তৃণমূলকর্মী বিদ্যুৎ নুনিয়া- সহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদের সদস্য বিষ্ণুপদ নুনিয়ার অনুগামীদের সঙ্গে বহুদিন যাবৎ জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি রূপেশ যাদবের অনুগামীদের বিবাদ ক্রমশ বাড়ছিল। এর জেরেই বুধবার রাতে বিষ্ণুপদ নুনিয়ার অনুগামী ধরমবীর নুনিয়াকে খুন করেছে রূপেশ যাদবের অনুগামী বিদ্যুৎ নুনিয়া। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দূর্গাপুর জেলা পরিষদের সদস্য বিষ্ণুপদ নুনিয়া তৃণমূল সভাপতি রূপেশ যাদবের অনুগামীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছেন। তবে সত্যিই তাকে রাজনৈতিক কারণেই খুন করা হয়েছে নাকি এর পেছনে কোনো ব্যক্তিগত কারণ রয়েছে, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

RELATED ARTICLES

Most Popular