Homeএখন খবরঝাড়গ্রামে বিনামূল্যের রেশনের চাল পাচারের সময় হাতে নাতে ধরলেন স্থানীয়রা, আটক লরি

ঝাড়গ্রামে বিনামূল্যের রেশনের চাল পাচারের সময় হাতে নাতে ধরলেন স্থানীয়রা, আটক লরি

নিজস্ব সংবাদদাতা: লকডাউনের ৬মাস রাজ্যের একটি বৃহৎ অংশের জনতার জন্য বিনামূল্যে রেশন সরবরাহ করছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ১লা এপ্রিল থেকে চালু হয়ে গেছে সেই প্রকল্প। আর এতেই পোয়া বারো এক শ্রেনীর অসাধু রেশন ডিলারের। কোথাও সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী কম রেশন দেওয়া আবার কোথাও নিম্ন মানের চাল আটা দেওয়া নিয়ে বিক্ষোভের খবর আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। আর এরই মধ্যে ধরা পড়ল আরেক চিত্র।

ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরে সরাসরি রেশন দ্রব্য পাচারের সময় হাতে নাতে ধরা পড়ল রেশন পন্য পারিবহনকারী একটি গাড়ি। শনিবার দিনে দুপুরেই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম থেকে গোপীবল্লভপুর যাওয়ার রাস্তার ওপরে। জানা গেছে জনগনের জন্য বরাদ্দ একটি লরি রেশনের দ্রব্য বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছিল একটি ঝাড়গ্রাম থেকে গোপীবল্লভপুরের দিকে যাচ্ছিল। লরিটি যখন ঝাড়গ্রামের পুকুরিয়ার কাছে ঠিক সেই উল্টো দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান আসছিল। লরি এবং পিক আপ ভ্যানটি এরপরই পাশাপাশি দাঁড়িয়ে পড়ে।

এরপরই স্থানীয়রা লক্ষ্য করেন যে দুই চালকের কথা বলার মাঝেই রেশন দ্রব্য বাহী লরি থেকে চালের বস্তা নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে পিক আপ ভ্যানটিতে। ঘটনাটি দেখতে পেয়েই গ্রামবাসীরা তড়িঘড়ি রেশন দ্রব্য বোঝাই গাড়িটিকে ঘেরাও করে চালকের সঙ্গে কথাবার্তা চালানোর সময়ই চালের বস্তা নিয়ে পিক আপ ভ্যানটি চলে যায়। এরপরই গ্রামের মানুষেরা রেশনের পণ্যদ্রব্য নিয়ে যাওয়া গাড়িটিকে আটক করে প্রশাসনকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে ঝাড়্গ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং পুলিশ পৌঁছায়। পুলিশ রেশন দ্রব্য পণ্যবাহী গাড়িটিকে আটক করে ঝাড়গ্রাম থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয় যুবকরা দাবি করেন যে, ”আমরা বেশ কয়েকদিন ধরেই এভাবেই রাস্তায় জনগনের জন্য বরাদ্দ রেশন পাচার হয়। খবর থাকলেও আমাদের কাছে কোনও প্রমান ছিলনা। আজ বিষয়টি লক্ষ্য করেই আমরা এগিয়ে যাই। লরির চালককে জিজ্ঞাসা করি এভাবে এই গাড়ির চাল নামানো হচ্ছে কেন ? চালক উত্তর দেয় এই পরিমান চাল ওদের মালিককে আগে অন্য একজন দিয়েছিল যা এখন ওরা ফেরৎ দিচ্ছে। আমরা অবাক হয়ে যাই। যদি চাল দেওয়া নেওয়ার ব্যাপারই থাকে তবে তা মাঝ রাস্তায় বদল হবে কেন? চালককে চেপে ধরতেই হঠাৎই পিক আপ ভ্যানটি নিয়ে চালক পালিয়ে যায়। এরপরই আমাদের সন্দেহ বেড়ে যায়। আমরা পুলিশকে খবর দিই। আর পুলিশ আসার আগেই চম্পট দেয় লরির চালকও । এতেই প্রমানিত হয়ে যায় যে আমরা যা অনুমান করেছিলাম সেটাই ঠিক। আমাদের দাবি পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিক। দোষির শাস্তি হোক।”

এলাকার মানুষের দাবী, দিনের পর দিন ধরেই এই পাচার হয়ে থাকে। বর্তমানে বিনামূল্যের রেশন সরবরাহের জন্য ডিলারদের হাতে প্রচুর রেশন দ্রব্য চলে আসায় পাচারের পরিমান আরও বেড়ে গেছে। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশ গাড়ির খালাসী কে আটক করা হলেও গাড়ির চালক পলাতক। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই রেশন ডিলারকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে। খোঁজ চলছে চালকেরও।

RELATED ARTICLES

Most Popular