Homeএখন খবরঝাড়গ্রামে রাতের অন্ধকারে দুই সিভিকের ওপর পর পর হামলা, গ্রেপ্তার ৩

ঝাড়গ্রামে রাতের অন্ধকারে দুই সিভিকের ওপর পর পর হামলা, গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব সংবাদদাতা: ঝাড়গ্রাম : কাজ সেরে নিজেদের বাড়ি ফেরার আক্রান্ত হলেন ২ সিভিক ভলান্টিয়ার। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পর পর দুজনের ওপর হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম শহরে। ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।আদালতে পেশ করার পর নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আক্রমনের উদ্দেশ্য খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। আক্রান্ত দুই সিভিক কর্মী ঝাড়গ্রাম থানাতে কর্মরত।

স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা গেছে,রবিবার প্রথম ঘটনাটি ঘটে রাত দশটার কিছু পর ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া পানিশোলের জঙ্গলে। রাতের কর্তব্য শেষ করে মোটর বাইকে নিজের গ্রাম বাঁধগোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শুষনিগেড়িয়া গ্রামে ফিরছিলেন গৌতম কপাট নামে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার । ঝাড়গ্রাম শহরের পুরাতন ঝাড়গ্রাম থেকে মানিকপাড়া যাওয়ার রাস্তায় ঝাড়গ্রাম শহর থেকে মাত্র দুকিলোমিটার যেতেই দুষ্কৃতীদের হাতে পড়তে হয় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। রাতের অন্ধকারে হাতে বড় বড় বাঁশের লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল দুজন তারা হঠাৎ করে বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁকে মারধর শুরু করে । কোনোক্রমে নিজের বাইক নিয়ে পালাতে সক্ষম হন গৌতম ।

এই ঘটনার প্রায় ২০ মিনিটের মাথায় ওই একই রাস্তা ধরে নিজের গ্রাম টিয়াকাটি ফিরছিলেন বাদল সরেন নামে আরেক সিভিক ভলেন্টিয়ার।  দুস্কৃতিরা এবার আক্রমন করে বাদল সরেনকে। গাড়ি থামিয়ে দুজনে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। ভাঙচুর করা হয় সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাইক। মোবাইল এবং টাকা পয়সা লুট করে চম্পট দেয় দুস্কৃতি দলটি। খবর পেয়ে বাদলকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ সূত্রে। এই অভিযানে রবিবার রাতেই তিনজনকে কালিনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ । সোমবার সকালে আক্রান্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার গৌতম কপাট  ঘটনাস্থলে গিয়ে বর্ণনা করে দেখান ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশকে । সিভিক ভলেন্টিয়ার গৌতম কপাট বলেন, ঝাড়গ্রাম একলব্য বিদ্যালয়ে আমার ডিউটি ছিল। প্রায় রাত দশটা নাগাদ ডিউটি শেষ করে আমি বাড়ি ফিরছিলাম । হঠাৎ করে দেখি পানিশোলের গোদরাপোল এর কাছে দুই ব্যক্তি রাস্তার দুদিকে দুটি বড় বাঁশের লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে মারতে শুরু করে ওই অবস্থায় আমি জোরে গাড়ি চালিয়ে কোনোক্রমে পালিয়ে বেঁচেছি।

সোমবার তিনজন অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে ঝাড়গ্রাম আদালতের বিচারক ওই তিনজনকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন । কি কারনে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান টাকা-পয়সার লুট এবং ছিনতাইয়ের জন্যই এই কাজ ঘটানো হয়েছে । তবে পাশাপাশি পুরানো কোনোও আক্রোশ ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

RELATED ARTICLES

Most Popular