Homeএখন খবরপিকনিক সেরে ফেরার পর গাছে ঝুলন্ত দেহ বিজেপি কর্মীর, খুনের অভিযোগ তৃণমূলের...

পিকনিক সেরে ফেরার পর গাছে ঝুলন্ত দেহ বিজেপি কর্মীর, খুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, উত্তেজনা অবরোধ দাঁতনে

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাতে পিকনিক সেরে বাড়ি ফিরেছিলেন বিজেপির তপশীলি মোর্চার সক্রিয় কর্মী বছর পঁয়ত্রিশের বর্ষা হাঁসদা। রাতে বাড়িতে ঘুমিয়েও ছিলেন। এরপরই বাড়ির অদুরেই একটি গাছ থেকে শুক্রবার   সাতসকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বর্ষা হাঁসদা নামে ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। আর এই অভিযোগ তুলে সকাল থেকে চলে পথ অবরোধ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে এলে অবরোধের মুখে পড়ে। প্রায় ২ঘন্টা অবরোধ চলার পর ঘটনার প্রকৃত তদন্তের আশ্বাস দিয়ে পুলিশ অবরোধ মুক্ত ও দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।  

গত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দাঁতনের জেনকাপুর, সন্তোষপুর এলাকা। মঙ্গলবার দুই দলের সংঘর্ষে ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ বৃহস্পতিবার পুলিশ চার যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ওই যুবকরা নিরপরাধ এবং ক্যারাম খেলার সময় তাদের পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশের মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সন্ধ্যা গড়িয়েও সেই অবরোধ চলতে থাকে। এরপর পুলিশ ওই চারজনকে ছেড়ে দেয়। জয়ের আনন্দে রাতে পিকনিক করছিল বিজেপি কর্মীরা। খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই বাড়ি ফিরে যায়, বাড়ি ফেরেন বর্ষাও ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বর্ষার স্ত্রী অঞ্জলি জানান বাড়ি ফিরেও খাওয়া দাওয়া করে একবার বাইরে গেছিল তাঁর স্বামী তারপর ফিরে এসে শুয়ে পড়ে । ঘুমিয়ে পড়ে তারাও। তারপর এই কান্ড। এরপর শুক্রবার সকালে সন্তোষপুরে নিজের বাড়ির অদুরে এক গাছের থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিজেপির জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক গৌরীশংকর অধিকারীর দাবি, স্থানীয় তৃণমূলের বুথ সভাপতি সেখ আজারুলের নেতৃত্বে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে খুন করে তাকে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার নামে সাজানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অধিকারীর দাবি পথ অবরোধে অংশ নেওয়ায় বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকবার ফোনে হুমকি দেওয়া হয় বর্ষাকে। বাড়ি ফেরার সময় রাত ৯টার সময়েও তাঁকে বলা হয়েছিল আজ রাতেই তাঁকে শেষ করে দেওয়া হবে। সেটাই করেছেন আজারুল বাহিনী। 

স্থানীয় তৃণমূল নেতা কালিপদ সামন্ত অবশ্য ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল যোগ উড়িয়ে দিয়ে বিষয়টিকে পারিবারিক অশান্তির ফল বলে দাবি করেছেন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হত্যা অথবা আত্মহত্যা , রাজনীতি অথবা পারিবারিক অশান্তি বোঝেননা অঞ্জলি । চার বছরের নিচে থাকা দুটি ছোট শিশু নিয়ে অন্ধকারে পড়েছেন তিনি । ক্রমাগত কেঁদেই চলেছেন। বড় শিশুটি এতই অবোধ যে এত কান্নাকাটি হৈচৈয়ের মধ্যে শ্লেটে পেন্সিল দিয়ে আঁক কেটেই চলেছে। বাবা যে আর কোনও দিনই ফিরবেনা সেটা বোঝার ক্ষমতা টুকুও নেই তার। ছোটটি মায়ের কোলে মায়ের কান্নার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে। 

RELATED ARTICLES

Most Popular