Homeএখন খবরবধূর দেহ ছিনতাই অভিযানে ধুন্দুমার খেজুরি, আক্রান্ত ১৮ জন পুলিশ কর্মী, ভাঙচুর...

বধূর দেহ ছিনতাই অভিযানে ধুন্দুমার খেজুরি, আক্রান্ত ১৮ জন পুলিশ কর্মী, ভাঙচুর পুলিশ ভ্যান

               
নিজস্ব সংবাদদাতা: মাঝ রাস্তায় এক গৃহবধূর মৃতদেহ ছিনতাই করার চেষ্টায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে গেল পুর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার অন্তর্গত রামচক ট্যাংরামারি এলাকায়। গৃহবধূর বাপের বাড়ির তাণ্ডবে আহত হয়েছেন ১৮জন পুলিশ কর্মী। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের একটি ভ্যানও। মৃতা গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে টাকা খেয়ে পুলিশ খুন হওয়া গৃহবধূকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে চালাতে চাইছে। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার সময়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনারা কথা স্বীকার করে নিয়ে কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক চক্রবর্তী বলেন,”খেজুরিতে ঝুলন্ত এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধারে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।মৃতার বাপেরবাড়ির লোকেদের মদতেই পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য রবিবার সকালে খেজুরির রামচক গ্রামে নিজের বাড়িতে  অনিতার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকেরা। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায় অনিতার বাপের বাড়ির লোকেরা। বাপের বাড়ি বনাম শ্বশুরবাড়ির লোকেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল। বাপের বাড়ির দাবি খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে। দুপুর নাগাদ রামচক গ্রামে দেহ উদ্ধারে যায় খেজুরি থানার পুলিশ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অনিতার বাপের বাড়ির  অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের গ্রেপ্তার না করেই একটি টোটোতে মৃতদেহ চাপিয়ে ফিরে যাচ্ছিল পুলিশ । এরপরই পথে ট্যাংরামারির কাছে পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে অনিতার বাপেরবাড়ির লোকেরা।টোটো থেকে মৃতদহে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা।আর তাতেই বাধা দিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ।ভাঙচুর চলে পুলিশ ভ্যানে।পরে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উদ্ধার করে নিয়ে যায় মৃতদেহ।
              
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  তালপাটিঘাট কোস্টাল থানার বিদ্যামন্দিরের অনিতার আড়াই বছর আগে রামচকের বাসিন্দা শুভজিৎ মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল।দম্পতির ২ মাসের এক শিশুপুত্রও আছে।স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, নানা কারণে অশান্তি চলত এই দম্পতির মধ্যে। তারপরই এই ঘটনা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ জানিয়েছে বধূ মৃত্যুর ঘটনায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি । ফলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখেই কাউকে গ্রেপ্তারের প্রশ্ন আসে। বাপের বাড়ির লোকেরা আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগও করতে পারত। তা না করে পুলিশের ওপর হামলা ও মৃতদেহ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার মত অপরাধ করেছে তারা ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। এদিকে  ঘটনার পর থেকে বধূর স্বামী শুভজিৎ এবং শ্বশুর মনোরঞ্জন নিখোঁজ রয়েছেন। অনিতার  বাবা বাঁটুল দাসই তাঁদের অপহরণ করেছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে। 

RELATED ARTICLES

Most Popular