Homeএখন খবরটানা ৬ ঘন্টার জেরার পরও অখুশি! সোমবার ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিয়াকে সমন...

টানা ৬ ঘন্টার জেরার পরও অখুশি! সোমবার ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিয়াকে সমন এনসিবি-র

ওয়েব ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার সকালে রিয়ার বাড়িতে সমন পাঠায় এনসিবি। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও মাদক পাচার চক্রের সাথে যোগাযোগ থাকার একাধিক অভিযোগ উঠেছে৷ সেই অনুযায়ী রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘন্টা রিয়া চক্রবর্তীকে ম্যারাথন জেরা করেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। জেরার শেষে এদিন এনসিবির জয়েন্ট ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে জানান, “আজ রিয়ার সঙ্গে সওয়াল-জবাব পর্ব শেষ করা সম্ভবপর হল না। আগামিকাল তাঁকে ফের ডাকা হয়েছে।”

জানা গিয়েছে, রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ মুম্বাই পুলিশের কড়া পাহাড়ায় রিয়া চক্রবর্তী ব্যালাড এসটেটে এনসিবির দফতরে হাজির হন। সেখানে তাকে মাদক সেবন ও মাদক পাচার সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে টানা ৬ ঘন্টা ধরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনসিবির ছয় সদস্যের একটি দল। সূত্রের খবর, এদিন এনসিবির তরফে রিয়াকে মাদক সেবনের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন, তবে মাদক সংগ্রহ করবার অভিযোগ মেনে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই সাথে এদিন সুশান্ত মামলায় মাদকচক্রের সাথে জড়িত সকলকে অর্থাৎ রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ হেল্প দীপেশ সাওয়ান্ত, হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং শৌভিক চক্রবর্তীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়।

তবে এদিন রিয়াকে জেরা করে সেভাবে কোনকিছু জানতে না পেরে সোমবার ফের তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠানো হয়। জেরার শেষে দিন মুম্বই পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর দফতর থেকে জুহুতে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। তবে সোমবার ফের তাকে এনসিবির দফতরে হাজিরা দিতে হবে বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে সপ্তাহ খানেক আগে সিবিআই এর তরফে রিয়ার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সেই সময় কোনোরকম জবাব না দিলেও শনিবার ছেলে শৌভিক চক্রবর্তী গ্রেফতার হওয়ার পর একটি বিবৃতি জারি করেন রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী। এদিন তিনি বিবৃতিতে বলেন, “অভিনন্দন ভারত, আপনারা আমার ছেলেকে গ্রেফতার করেছেন। আমি নিশ্চিত যে এরপরই তালিকায় আছে আমার মেয়ে এবং তারপর কে আছে, তা আমি জানি না। আপনারা খুব সুন্দরভাবে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। যদিও বিচারের জন্য অবশ্য সবকিছু ন্যায়সঙ্গত। জয় হিন্দ।”

RELATED ARTICLES

Most Popular