Homeএখন খবরসবংয়ে কলেজ ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, খুন করেছে বাবা ও সৎ-মা দাবি গ্রামবাসীদের,...

সবংয়ে কলেজ ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, খুন করেছে বাবা ও সৎ-মা দাবি গ্রামবাসীদের, দুজনকেই আটক করল পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার অন্তর্গত মোহাড় গ্রাম পঞ্চয়েতের সেকচক গ্রামের ২০বছর বয়সী তরুনীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় হল গ্রাম। যুবতীকে খুন করা হয়েছে দাবি করে মৃতদেহ উদ্ধারে বাধা দেয় পুলিশ। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করা হবে এবং কেউ দোষি হলে ছাড় পাবেনা এমনই আশ্বাস দিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। মঙ্গলবার খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ওই যুবতীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবারই যুবতীর বাবা ও সৎ মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
সেক চকের এক বাসিন্দার দাবি ,” মোহাড়ের সেক চক গ্রামের বাসিন্দা ২০ বছরের শ্রাবনী দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়িরই পুকুর থেকে সোমবার বিকালে। সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শ্রাবনীর মৃতদেহ উদ্ধারের সময় তার কানে ও নাকে রক্তের দাগ ছিল বলে দাবি গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের আরও দাবি রবিবার রাতে শ্রাবনীকে মারধর করার পর সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাকে তার বাবা আর সৎমা মিলে রাতেই পুকুরে ফেলে দেয়।”
মঙ্গলবার খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নাতনির মৃতদেহ সংগ্ৰহ করতে এসে শ্রাবনীর দাদু বলেছেন, “আমার নাতনি একজনের সাথে প্রেম করত কিন্তু ছেলেটি বেকার বলে আমার ছেলে সেই সম্পর্ক মানতে চায়নি। সে অন্য জায়গায় মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিল। নাতনি সেটা মানতে রাজি হয়নি। তাই নিয়ে তার বাবা তাকে বকাবকি করে। সেই কারনেই আত্মহত্যা করেছে শ্রাবনী। মনে হয় পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ার আগে সে বিষও খেয়েছিল।”
গ্রামের লোকের বক্তব্য শ্রাবনীর বাবা চন্দন দাসের প্রথমা স্ত্রীরও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ১০বছর আগে। তারপর দ্বিতীয় বিয়ে করে সে। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুতেও যথেষ্ট রহস্য ছিল। গ্রামের মানুষের বিশ্বাস সেটিও হত্যা কিংবা আত্মহত্যায় প্রোরচনার ছিল। চন্দন দ্বিতীয় বিয়ে করার পরই তার বাবা গোপাল ছেলের ওপর বিশ্বাস রাখতে না পেরে নাতনির নামে নিজের জীবনবিমার নমিনি ও বিষয় সম্পত্তির বড় অংশই দানপত্র করে দেয়। চন্দনের ভয় ছিল শ্রাবনীর বিয়ে হয়ে গেলে সেই সম্পত্তি মুরারীচকের সেই যুবকের নিয়ন্ত্রনে চলে যাবে যাকে শ্রাবনী ভালবাসত। আর সেই কারনেই চন্দন ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিলে এমন একজন পাত্র ঠিক করে যে তাদের নিয়ন্ত্রনে থাকবে। যা শ্রাবনী মেনে নিতে পারেনি।
সবং থানা সূত্রে জানা গেছে, শ্রাবনীর বাবা চন্দন ও তাঁর স্ত্রীকে মঙ্গলবার থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। পুলিশের এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন,” তদন্ত একেবারেই প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। দুজনকেই আলাদা আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখুনি কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া মুশকিল আছে।”

RELATED ARTICLES

Most Popular