Homeজাতীয়উত্তর প্রদেশহাথরসে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার সাংসদদের উপর লাঠিচার্জ, মহিলা সাংসদের পোশাক টানার...

হাথরসে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার সাংসদদের উপর লাঠিচার্জ, মহিলা সাংসদের পোশাক টানার অভিযোগ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে

ওয়েব ডেস্ক : হাথরসে নির্যাতিতার মৃত্যুর পর নির্যাতিতার পরিবারের অনুমতি ছাড়াই পুলিশ তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস। ইতিমধ্যেই হাথরসে বুল গার্গি গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করেছে যোগী সরকার। এদিকে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি – প্রিয়াঙ্কা গান্ধির পর শুক্রবার সকালে ফের একই ঘটনার সম্মুখীন হলেন এরাজ্যের ৪ তৃণমূল সাংসদ। শুক্রবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কলকাতা থেকে উত্তরপ্রদেশ উড়ে গিয়েছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল ও মমতা ঠাকুর।

কিন্তু গ্রামে ঢোকার আগেই পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দল। চলে যোগী রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বর্বরতা। মহিলা সাংসদদের উপর চলে মারধর, লাঠিচার্জ। এমনকি সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের পোশাক টানার অভিযোগ ওঠে হাথরস পুলিশের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় এদিন সাংসদ ডেরেক ও’‌ব্রায়েনকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

পুরুষ পুলিশদের ঘেরাটোপে মহিলা সাংসদরা

শুক্রবার ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “‌ডেরেককে ঠেলে ফেলা দেওয়া হয়েছে। হয়তো তিনি আঘাতও পেয়েছেন। তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। একজন সাংসদের সঙ্গে এ কাজ কী করে করেত পারে পুলিশ? আমরা কি নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জানাতে পারি না?‌” পাশাপাশি এদিন কাকলিদেবীর বিস্ফোরক অভিযোগ, “নির্যাতিতার বাবাকে ভয় দেখাচ্ছেন জেলাশাসক। তিনি তাঁকে হুমকি দিয়ে বলছেন, আজ গ্রামে সংবাদমাধ্যম রয়েছে, কাল কিন্তু চলে যাবে। পরে আমাদের সঙ্গেই থাকতে হবে।”ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হল ডেরেক কে

এদিন ঘটনাস্থল থেকে সাংসদ ডেরেক ও’‌ব্রায়েন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “উত্তরপ্রদেশের এই হাল দেখে আমি বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। কোথাও কি ‌এভাবে সাংসদদের সঙ্গে আচরণ করা হয়?‌ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মমতাবালা ঠাকুরকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা শুধু নির্যাতিতার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে চেয়েছিলেন। এখানকার উগ্র পুলিশ ভুল ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে।”

এদিকে, এদিন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। এদিন তিনি বলেন, “আমরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম কিন্তু সেখানে আমাদের ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা কিছুটা জোর করে ঢুকতে চাইলে মহিলা পুলিশকর্মীরা আমাদের পোশাক ধরে টানে এবং আমাদের সঙ্গে থাকা সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের ওপর লাঠিচার্জও করে। তিনি পড়ে গেলে পুরুষ পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে ধরে তোলে। পুরো ঘটনাটাই খুব লজ্জাজনক।”

এদিকে একই অভিযোগ সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের৷ এদিন তিনি নির্যাতিতার বাড়ি থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে পুলিশি বাধার মুখে দাঁড়িয়ে বলেন, “‌আমাদের বাধা দিলে আমরা উত্তরপ্রদেশের পুলিশের কাছে অনুরোধ জানাই যে অন্তত যাতে আমাদের দু’‌জন মহিলাকে যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু সে সময় প্রেমপ্রকাশ মীনা নামে এক পুলিশ আধিকারিক আমাকে ধাক্কা দেন। এটা পরিষ্কার যে এই উত্তরপ্রদেশের সরকার বা মোদী সরকার কোনও নারী সুরক্ষা দিতে পারবে না।”

RELATED ARTICLES

Most Popular