Homeউত্তরবঙ্গআলিপুরদুয়ারউত্তরের জেলায় জেলায় টিকা সঙ্কট; প্রতিষেধক না পেয়ে আলিপুরদুয়ারে পথ অবরোধ, জলপাইগুড়িতে...

উত্তরের জেলায় জেলায় টিকা সঙ্কট; প্রতিষেধক না পেয়ে আলিপুরদুয়ারে পথ অবরোধ, জলপাইগুড়িতে বন্ধ হল টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ

নিউজ ডেস্ক: কোভিড ভ্যাকসিন মিলবে, এই আশা নিয়ে ভোররাত থেকে লাইন দিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন এলাকার প্রবীণরা। তবে সেই আশা পূরণ হল না। ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার পথ অবরোধ করলেন তারা।

আলিপুরদুয়ার পুরসভার আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে রাত আড়াইটের থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকা না পেয়ে বুধবার সকাল ১০.৩০ মিনিট নাগাদ আলিপুরদুয়ার মাধব মোড় এলাকায় পথ আবরোধ করলেন শতাধিক প্রবীণ নাগরিক।

বুধবার আলিপুরদুয়ার পৌরসভা বিপরীতে স্থিত আলিপুরদুয়ার পৌরসভা আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে টিকা নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ান শতাধিক প্রবীণ নাগরিক। দশটার সময় সেন্টার খোলার পর সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানান মঙ্গলবার দিন টিকা নিতে এসে যারা টোকেন নিয়ে গেছেন তারাই একমাত্র টিকা পাবেন। এ শুনেই উত্তেজিত হয়ে পরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রবীণ নাগরিকরা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সেন্টারের সামনে। ভয়ের চোটে সেন্টারে তালা মেরে পালিয়ে যান সেন্টার কর্তৃপক্ষ।

হয়রানির শিকার প্রবীণরা অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে সারে ১০টা নাগাদ আলিপুরদুয়ার মাধব মোড় এলাকায় পথ অবরোধ করে বসেন। প্রায় আধ ঘণ্টা আটকে থাকে আলিপুরদুয়ারে বক্সা ফিডার রোড। অবশেষে আলিপুরদুয়ার থানার থেকে পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। প্রবীনদের অভিযোগ বারবার এভাবে ঘুরে যেতে হচ্ছে, হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

এদিকে আলিপুরদুয়ারের পাশাপাশি শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতেও টিকা নিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরসভার মাতৃসদনে ভ্যাকসিন না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন সকলে। ঘটনাস্থলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ভোর বেলা থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে একে তো হরানির শিকার, তার ওপর মেলেনি ভ্যাকসিন। অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে সামিল হন টিকা নিতে আসা সকলেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শিলিগুড়ি পুলিশ। তারা পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেলে এরকমই কিছু অভিযোগ। ভ্যাকসিন নিয়ে এই চরম হয়রানির অভিযোগের মাঝেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ বন্ধ হয়ে গেল জলপাইগুড়িতে। টিকা সঙ্কটের জন‍্য এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর। তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশ এসেছে। তাই আপাতত কয়েকদিন প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না। কারণ, যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজের ভ‍্যাকসিন পেতে অসুবিধা হচ্ছে। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে যতদিন পযর্ন্ত পর্যাপ্ত ভ‍্যাকসিন পাওয়া না যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত প্রথম ডোজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন সেন্টারে করোনা ভ‍্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রতিদিন ব‍্যাপক ভিড় হচ্ছিল। মাত্র ২০০ জনকে ভ‍্যাকসিন দেওয়া হলেও লাইনে দাঁড়াচ্ছিলেন প্রায় হাজার মানুষ। এতে সমস্যা‌য় পড়তে হচ্ছিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর‌কেও। এইজন্য আপাতত কয়েকদিন প্রথম ডোজের ভ‍্যাকসিন দেওয়ার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular