Homeএখন খবরভর্তি প্রক্রিয়া বাতিল করে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার পথে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়

ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিল করে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার পথে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব সংবাদদাতা: কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলির চূড়ান্ত বর্ষের মূল্যায়ন পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)। শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছেন সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নিতে হবে প্রথাগত পরীক্ষাই। একদিকে যেমন ছাত্রছাত্রীদের রাতের ঘুম উড়ে গেছে তেমনই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলির মাথা ব্যথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা আবহে কী ভাবে সংক্রমন বিধি এড়িয়ে হাজার হাজার পড়ুয়ার পরীক্ষা নেওয়া যায়। আদালতের রায়ের পরেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন পুজার আগেই সেরে ফেলতে হবে সমস্ত পরীক্ষা। আগামী সোমবার এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই এক কদম এগিয়ে এম.এ, এম.এস.সি, এম.কম সহ বিভিন্ন স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করে দিয়েছিল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। চলছিল ফর্ম ফিলাপ যা আর কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে বাতিল করতে হয়েছে সেই প্রক্রিয়া। বিপরীতে শুরু করতে হয়েছে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি। বিশ্ব বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ মোট ৬০টি কলেজের ২০ থেকে ২৫ হাজার পড়ুয়ার পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অল্প সময়ের মধ্যে কাজটা কঠিন কিন্ত কাজটা করতেইহবে তাই রাজ্য থেকে চূড়ান্ত নির্দেশ আসার আগেই একটা পরিকল্পনা করে রাখতেই হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানিয়েছেন, “এরকমটা নয় যে করোনা সংক্রমন শুরু হওয়ার সময় থেকেই আমরা ধরে নিয়েছিলাম যে পরীক্ষা হবেনা। বরং পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিটা একটা বছর ভরের প্রক্রিয়া যা চলতেই থাকে। সেই হিসাবে কিছু প্রস্তুতি আমাদের নেওয়াই আছে এখন কাজটা হল সেই পদ্ধতিটাকে ফের চালু করা। ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে যে প্রক্রিয়াটা থেমে গেছিল তাকে আবার শুরু করা। সমস্যা একটু হবে ঠিকই কিন্তু তাতে প্রতিবন্ধকতা হবেনা।”

সমস্যা ঠিক কোথায় জানতে চাইলে ওই কর্তা জানিয়েছেন, “যেহেতু করোনা আবহে পরীক্ষা তাই করোনা বিধি অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা আমরা স্বাভাবিক সময়ে হলে পরীক্ষার সময় সূচি বাড়িয়ে দিয়ে সামাল দিতে পারতাম কিন্তু সমস্যা হচ্ছে পুজোর আগেই পরীক্ষাটা নিয়ে নিতে হবে, অন্তত মুখ্যমন্ত্রী তাই বলেছেন। এই দুইয়ের মেল বন্ধন ঘটানটা একটি কঠিন।”

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি পরীক্ষা নিয়ামক দেবাশিস মিশ্র বলেছেন, ” আমরা উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। সেই নির্দেশ হাতে পেলেই কী ভাবে কী করব তা চূড়ান্ত হবে। এর বেশি এখুনি কিছু বলতে পারছিনা।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়টির দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আপাতত ভর্তি স্থগিত করা ছাড়া বিকল্প নেই ঠিকই কিন্তু তবুও আমরা আজ একটি বৈঠকে বসছি সেখান থেকে একটি সমাধান সূত্র বের করার চেষ্টা হবে যারা ফর্ম ফিলাপ করেছেন তাঁদের যতদূর সম্ভব দ্বিতীয়বার এই প্রক্রিয়াতে না আসতে হয়। পরবর্তীতে ফলাফল দেখিয়েই ভর্তি করা যায় কিনা দেখা হচ্ছে।”

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “আদালতের রায়কে মান্য করা আর ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থকে রক্ষা করেই আমরা সবটাই করছি। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য পরামর্শদাতা সংস্থা রয়েছেন নিশ্চিত ভাবেই তাঁরা সমাধান সূত্র খুঁজছেন, আমরা তা পেয়েও যাব। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যতদূর সম্ভব সংস্পর্ষ হীন পরীক্ষা পদ্ধতির। আমরা সব টাই নজরে রাখছি।” মনে করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষে পরীক্ষা পদ্ধতির বদল হবে। সূত্রের খবর, অনলাইন বা অফলাইন দুই পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নেওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এই অফলাইন বা অনলাইন পরীক্ষার বিষয়টি নির্দেশিকাতেই উল্লেখ করেছিল ইউজিসি। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, অক্টোবর নাগাদ পরীক্ষা নেওয়ার তোড়জোড় চলছে। সোমবার পরীক্ষা গ্রহণের বিধি চূড়ান্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। আগামী ১সপ্তাহের মধ্যেই পরীক্ষা বিধি চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular