Homeশরীর ও স্বাস্থ্যশিশুর নাক দিয়ে জল পড়ছে! প্রয়োগ করে দেখুন ঘরোয়া এইসব উপায়

শিশুর নাক দিয়ে জল পড়ছে! প্রয়োগ করে দেখুন ঘরোয়া এইসব উপায়

নিউজ ডেস্ক: পরিবর্তিত আবহাওয়ায় আমরা বড়রাই কাবু হয়ে যাই, জ্বর সর্দি কাশির শিকার হই। তবে শিশুরা এই সময় একটু বেশি ভোগে। ঠান্ডা লেগে এই সময় নাক দিয়ে জল পড়া শিশুদের মধ্যে খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। নাকে শ্লেষ্মা বা কফ জমা হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে আবার জ্বর, হাঁসি, গলা ব্যথা, পেট খারাপ ও হয়। সেই সাথে শিশুদের নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় ওষুধ ছাড়াই নাক দিয়ে জল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। আবার কোনও সময় ওষুধ দিয়ে এটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তবে এর জন্য ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এতে আপনার শিশু আরাম পাবে আর খুব তাড়াতাড়ি নাক দিয়ে জল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং নাক বন্ধ থাকলে তা খুলে যাবে।

মধু: মধুতে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বা অ্যান্টি-ফাঙ্গাস উপাদান রয়েছে। এটিও নাক দিয়ে জল পড়া কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ঠান্ডা লেগে হওয়া কাঁশি ও গলা ব্যথা কমিয়ে দিতেও সাহায্য করে। এক বা দুই টেবিল চামচ মধু গরম জলে মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিন বার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। আবার এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ লেবুর রস গরম জলে মিশিয়েও শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এটিও নাক দিয়ে জল পড়া বা ঠান্ডার সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে।

তুলসি পাতা: এটি খুব সহজেই পাওয়া যায়। আমাদের অনেকের বাড়ীতেই তুলসি গাছ আছে। তুলসি ভেষজ গুণ সম্পন্ন। তুলসি পাতায় থাকা অ্যান্টি-ব্যক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাস ও অ্যান্টি-ভাইরাস প্রোপারটিস, নাক দিয়ে জল পড়ার সমস্যা কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও নিয়মিত তুলসি পাতা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে যারা খুব ছোট , পাতা চিবিয়ে খেতে পারবে না তাদের রস করে খাওয়াতে পারেন। রসের মধ্যে সমপরিমাণে লেবুর রস, আদার রস ও মধু মিশিয়ে দিতে হবে। দিনে তিন থেকে চার বার এটা খাওয়াতে হবে। এটি ঠান্ডার সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী।

ইউক্যালিপটাস তেল: বন্ধ নাক খুলতে বা নাক দিয়ে জল পড়া কমাতে এই তেল খুব ভালো কাজ করে। এই তেল বিভিন্ন রকম ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে সহজেই নাকে জমে থাকা শ্লেষ্মা বের হয়ে যায়। এর জন্য এক বালতি গরম জল নিয়ে তার মধ্যে ৪ থেকে ৫ ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল নিতে হবে। তারপর সেই জল দিয়ে শিশুকে স্নান করাতে হবে। কিন্তু খুব বেশি সময় ধরে স্নান করানো যাবে না।

চিকেন/ভেজেটেবিল স্যুপ: এই সময় শিশুকে চিকেন স্যুপ খাওয়ালে তারা অনেক উপকার পাবে। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে করার পাশাপাশি ঠান্ডাজাতীয় রোগ ব্যাধি অনেক কম হবে। দিনে তিন থেকে চার বার এই স্যুপ খাওয়াতে পারেন। আর চিকেন না হলে সব্জি দিয়ে তৈরি স্যুপও দিতে পারেন, এতেও উপকার পাওয়া যাবে। তবে অবশ্যই ঘরে তৈরি স্যুপ খাওয়াতে হবে। বাজারে পাওয়া প্যাকেটের স্যুপ না খাওয়ানোই ভালো। চেষ্টা করবেন টাটকা সব্জি দিয়ে স্যুপ তৈরি করার।

RELATED ARTICLES

Most Popular