Homeএখন খবরপান আর বিড়ির পর এবার মদেও ছাড়, লকডাউনে ঘরে বসেই মদ খান

পান আর বিড়ির পর এবার মদেও ছাড়, লকডাউনে ঘরে বসেই মদ খান

নিজস্ব সংবাদদাতা: মঙ্গলবার ছাড় দেওয়া হয়েছিল পান আর বিড়িতে। বুধবার মদেও ছাড় দিল রাজ্য। লকডাউনের আর মদের জন্য হা হুতাশ নয়, বাড়িতে বসেই অর্ডার করুন আর হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মদ পেয়ে যান। বাড়িতে বসেই হোম ডেলিভারি মারফত মদ পাওয়া ও পানের সুবিধা মদ্যপায়ীদের জন করে দিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বুধবার একটি নোটিসের মাধ্যমে এমনই সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।

ওই নোটিশ মারফৎ জানানো হয়েছে বুধবার থেকে লকডাউন ওঠা পর্যন্ত সমস্ত ওয়াইন শপ, বার, রেস্টুরেন্ট কিংবা হোটেল থেকে হোম ডেলিভারি মারফত মদ অর্ডার করতে পারবেন রাজ্যবাসী। এর জন্য স্রেফ নির্দিষ্ট দোকান কিংবা বারে ফোন করে অর্ডার দিতে হবে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টোর মধ্যে এই অর্ডার করা যাবে।
কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু নিয়মাবলী আছে। প্রথমত, সশরীরে দোকানে এসে অর্ডার করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, ডেলিভারি বয় মারফত মদের অর্ডার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে বাড়িতে এসে যাবে। মদের দোকানের মালিকদের এজন্য স্থানীয় থানা থেকে নির্দিষ্ট পাস যোগাড় করতে হবে। প্রতিটা দোকানের জন্য তিনটি পাস বরাদ্দ থাকবে। আর সেই পাসে সই থাকবে স্থানীয় থানার ওসি কিংবা অতিরিক্ত ওসির।

এই বিষয়ে রাজ্যের প্রতিটি থানার ওসি ও অতিরিক্ত ওসির কাছে নোটিস গিয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। এর পেছনে অবশ্য মদ্যপায়ীদের পাশাপাশি সরকারের সুবিধাও রয়েছে। মদের দোকান থেকে মোটা অঙ্কের রাজস্ব আদায় হয় সরকারের। লকডাউনের বাজারে মদের দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বন্ধ হয়ে গেছিল রাজ্যের। এদিকে করোনা যুদ্ধে সরকারের প্রতিদিনই খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। মদের খাতে রাজস্ব ফিরে এলে তার কিছুটা সুরাহা হয়। যদিও এর একটি বিপরীত প্রতিক্রিয়াও ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। লকডাউনে গার্হস্থ্য হিংসা ও নারী নির্যাতন বেড়ে গেছে বলে মহিলা কমিশনের রিপোর্ট। কাজকর্ম না থাকা, স্বভাব সিদ্ধ ভাবে বাইরে বেরুতে না পারার হতাশা থেকেই বাড়ছে এসব। এরপর সংসারে মদের যোগান না আরও বাড়িয়ে দেয় সেই হিংসাকে। বিশেষ করে যদি ক্রুদ্ধ গৃহিনী বলে বসেন, ‘মদ যেখান থেকে এনেছ, চাট ও সেখান থেকে আনো! মেরি ঝাঁসি থুড়ি হেঁসেল দেগি নেহি!” তবে খবরে বেজায় নিশ্চিত ভাবেই খুশি মদ্যপায়ীরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular