Homeআবহাওয়াবৃষ্টির ডবল ধামাকায় ভিজল খড়গপুর-মেদিনীপুর, কোথাও শিলাবৃষ্টি কোথাও ঝড়! স্বস্তি পেল ঝাড়গ্রাম,সা‍ঁকরাইল,ডেবরা,...

বৃষ্টির ডবল ধামাকায় ভিজল খড়গপুর-মেদিনীপুর, কোথাও শিলাবৃষ্টি কোথাও ঝড়! স্বস্তি পেল ঝাড়গ্রাম,সা‍ঁকরাইল,ডেবরা, পিংলা, সবং

নিজস্ব সংবাদদাতা: একেবারে ছপ্পড় ফুঁড়েই বৃষ্টি নামল খড়গপুর-মেদিনীপুর শহরে। একবার নয় পরপর দু’দফায় বৃষ্টির সাথে ঝোড়ো হওয়া প্রাণ জুড়িয়েছে দুই শহরের। গত প্রায় ৩ মাস এত বৃষ্টি হয়নি দুই শহরে। এবছর গরমে দুই শহরের সর্বোচ্চ তাপমান ছুঁয়ে গেছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি যার মধ্যে মার্চের শেষ সপ্তাহে দুই শহরের তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছিল বাংলার সমস্ত শহরকে। দিন কয়েক আগে সামান্য বৃষ্টি হলেও প্রাণ জুড়ায়নি শহরের। শনিবার দু’দফার বৃষ্টি সেই ঘাটতি পূরণ করে দিয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া উদ্যানের তরফে জানানো হয়েছে এদিন মেদিনীপুর শহর ও আশেপাশে বৃষ্টি হয়েছে ২৩.৬২মিলি মিটার।

মধ্যপ্রদেশের ঘূর্ণাবর্তের জেরে গাঙ্গেয় উপত্যকা এবং দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্ত বাংলা বিশেষ করে খড়গপুর, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এলাকায় পয়লা বৈশাখের আশেপাশে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। দ্য খড়গপুর পোষ্ট সেই খবর প্রকাশও করেছিল ১৩ই এপ্রিল। যদিও পয়লা বৈশাখের ২দিনের মাথায় বৃষ্টি হল দুই শহরে। সঙ্গে সামান্য ঝড় ও বজ্রবিদ্যুৎ লক্ষ্য করা গেছে। এদিন দুই শহরেই বৃষ্টি হয়েছে প্রথম দফায় সন্ধ্যা ৬টা ২০ নাগাদ। কোথাও কোথাও সেই বৃষ্টির রেশ ধরেই ফের বৃষ্টি ঝাঁপিয়েছে সাড়ে ৭টা নাগাদ। কোথাও আবার প্রথম দফার বৃষ্টি আধঘন্টা চলার পর পুরোপুরি থেমে গিয়ে ফের দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি নেমেছে, স্থায়ী হয়েছে কুড়ি মিনিট মত।

মেদিনীপুর শহরের কেরাণীতলা, কালেক্টরেট, সিপাহীবাজার, বড়বাজার, পাটনাবাজারের দোকানদারদের দ্রুত বাইরে থাকা জামাকাপড় দোকানের ভেতর ঢুকিয়ে নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আবার খড়গপুর শহরের পথ চলতি মানুষদের যানবাহন থামিয়ে ছুটে ঢুকে পড়তে দেখা গিয়েছে আশেপাশের আশ্রয়ের খোঁজে।
এদিন বেলদা, নারায়নগড়, কেশিয়াড়ী, ডেবরা, পিংলা, সবংয়ে অল্প হলেও বৃষ্টি হয়েছে। ঝাড়গ্রাম এবং সাঁকরাইলেও ভালো বৃষ্টি হয়।

সাঁকরাইলে বড় বড় আকারে শিলাবৃষ্টি হতে দেখা গিয়েছে ফলে সামান্য দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা কারন মাঠে অনেকেরই এখনও পাকা ধানের পাশাপাশি সবজি ইত্যাদি রয়েছে। রাত ঘনিয়ে যাওয়ায় সে সবের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা বা হলেও কতটা হয়েছে তাই নিয়ে চিন্তায় চাষীরা। রবিবার সকালের আগে তা স্পষ্ট হবেনা বলেই জানা গেছে। তবুও এদিনের বৃষ্টি আপাত স্বস্তি এনেছে। রবিবার ছুটির দিন তার আগের রাতে একটু শান্তির ঘুম দেওয়া যাবে। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৩৬ ও সর্বনিম্ন ২০.৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। বাতাসে সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৮.৩%।

RELATED ARTICLES

Most Popular