Homeএখন খবরভয় দেখানো হচ্ছে কর্মীদের, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর

ভয় দেখানো হচ্ছে কর্মীদের, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর

ওয়েব ডেস্ক : বিশ্বভারতীর ঘটনার পর সপ্তাহ খানেক কেটে গিয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই বিশ্বভারতীর কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। শোনানো হচ্ছে নানা কুরুচিকর মন্তব্য। এর জেরে অফিসে আসতে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন একাধিক কর্মী। এই মূহুর্তে অফিসে এসে কাজ করা স্বাভাবিকভাবেই কর্মীদের কাছে বেশ বিপজ্জনক। এমনকি কর্মীরাও ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। ফলে এই পরিস্থিতিতে সকল কর্মীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও পরীক্ষা, ভর্তি, অনলাইন ক্লাস এবং এ জাতীয় জরুরি পরিষেবাগুলি বন্ধ থাকবে না। আগের মতোই খোলা থাকবে। অধ্যাপক ও সকল কর্মীরা বাড়ি থেকেই তাদের কাজ করবেন। আগামী ৩১ আগষ্টের পর পরিস্থিতি বুঝে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিশ্বভারতীর ঘটনার পর থেকেই কর্মী ও অধ্যাপকদের প্রতিদিন নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। মহিলা কর্মীদের নানা কুকথা বলা হচ্ছে, একই সাথে তাদের নানাভাবে বিরক্তও করা হচ্ছে। এমনকি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের একাধিক ল্যাববেটরি । তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে, এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই বিপুল আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে পারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেকারণেই সোমবার তড়িঘড়ি বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, ডাইরেক্টর-সহ একাধিক আধিকারিক। এদিন বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই মূহুর্তে যা পরিস্থিতি তাতে এখনও অফিস খোলার মতো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তাই অধ্যাপক ও কর্মীরা আপাতত বাড়ি থেকেই কাজ করবেন।

সোমবারের বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ক্যাম্পাসের ভিতর ছাত্রছাত্রী এমনকি কর্মীদের জন্যও একেবারেই নিরাপদ নয়৷ সুতরাং নিরাপদ রাখতে হলে পাঁচিল, ব্যারিকেড, ফেন্সিং করা জরুরি। গত কয়েকবছরে ছাত্রীকে খুন, গাছ ভুরি সিহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে একাধিক কুরুচিকর ঘটনা ঘটেছে। সংগীত ভবনের কাছে একটি রেস্তরাঁয় প্রতিদিনই বহিরাগতদের আড্ডা দিতে দেখা যায়। দিন দিন সেখানে আসা বহিরাগতদের আধিপত্য বাড়ছে। এতে বিশেষত ছাত্রীদের নিরাপত্তা ক্ষুন্ন হচ্ছে৷ এছাড়া মিউজিয়ামে একাধিক মূল্যবান জিনিসপত্র রয়েছে, সেগুলি রক্ষা করতে এবং সকলের নিরাপত্তার জন্য পাঁচিল দরকার। অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙা, সম্পত্তি নষ্ট ও শান্তি নষ্ট করার প্রতিবাদে এদিন প্রতিবাদে পথে নামল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। এদিনের মিছিলে রবীন্দ্রসংগীত গাইতে গাইতে পোস্টার নিয়ে শান্তিনিকেতনের ফায়ার ব্রিগেডের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ করে তারা। তাদের দাবি, বিশ্বভারতীর সম্পত্তি নষ্ট করায় তান্ডবকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, কোনোভাবেই শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য পৌষমেলা ও বসন্ত উৎসব কোনও পরিস্থিতিতেই বন্ধ করা যাবে না বলেই এদিনের মিছিলে জানায় তারা।

RELATED ARTICLES

Most Popular