Homeআবহাওয়াঅভিমুখ বদল হচ্ছে ঝড়ের, দিঘা নয় জলেশ্বরে ঝাঁপাতে পারে যশ! বিপর্যয়ের মুখে...

অভিমুখ বদল হচ্ছে ঝড়ের, দিঘা নয় জলেশ্বরে ঝাঁপাতে পারে যশ! বিপর্যয়ের মুখে খড়গপুর, পিংলা, দাঁতন, বেলদা, বৃষ্টি শুরু পশ্চিমেও

The weather also changed in West Midnapore. Within three hours of the low pressure turning into a cyclone, signs of rain and storms in the districts indicate that these areas could also be in danger. This is because the aquifer is generally considered to be a pre-existing cyclone. The reason for the apprehension is that a source is claiming that the cyclone Yash may touch the landfall in Jaleshwar, not far from Digha but further west of Digha near the Bengal border. And if that is the case, then the districts of West Midnapore, especially Kharagpur local and Pingla and its adjoing area are likely to suffer huge losses this time.

নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরেও বদলে গেল আবহাওয়া। নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার মাত্র ৩ঘন্টার মধ্যে পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়ার লক্ষণ বলে দিচ্ছে বিপদ ঘনাতে পারে এই এলাকা গুলিতেও। কারন ঘূর্ণিঝড়ের প্রাক লক্ষণ হিসাবেই প্রবেশ করছে এই জলীয় বায়ু এমনটাই সাধারণভাবে মনে করা হয়ে থাকে। আশঙ্কা আরও জোরালো হওয়ার কারণ এই যে একটি সূত্র দাবি করছে দিঘা নয় বরং দিঘার আরও পশ্চিমে বাংলার সীমান্ত ঘেঁষে জলেশ্বরে ল্যান্ডফল বা স্থলভাগ স্পর্শ করতে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ। আর যদি তা হয় তবে পূর্ব নয় এবার ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাগুলি।

ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের তরফে অতিরিক্ত সতর্ক করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন, বেলদা, নারায়নগড়, পিংলা এবং খড়গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার স্থানীয় প্রশাসনকে। ঝড়ে বিপর্যস্ত পরিবার গুলির জন্য আশ্রয় শিবিরের জন্য বিদ্যালয় গুলি তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। দাঁতন প্রায় ১০০টি এবং মোহনপুর থানাও সম পরিমান বিদ্যালয় চিহ্নিত করে রেখেছে আশ্রয় শিবিরের জন্য। অন্যদিকে পিংলা এলাকায় পুলিশের উদ্যোগে শুকনো ও ভঙ্গুর গাছ কাটা শুরু হয়েছে।

যদি জলেশ্বর এলাকায় ঝড়ের ল্যান্ডফল বা ভূমি স্পর্শের মত ঘটনা ঘটে তবে পিংলা এবং খড়গপুর গ্রামীন এলাকায় বিপর্যয়ের সম্ভবনা বেশি বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সোমবার বেলা ১০টা নাগাদ উপকূল থেকে ৬০০কিলোমিটার দুরে সমুদ্রবক্ষে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার মাত্র ৩ ঘন্টার মধ্যেই বদলে গেছে খড়গপুর মেদিনীপুর সহ সংলগ্ন এলাকার আবহাওয়া।

মেঘ ঘন হয়ে এসেছে ঝাড়গ্রামেও। ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল, গোপীবল্লভপুর এলাকায় মৃদু বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন, বেলদা, খড়গপুর, মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টির সাথে জোরালো হওয়ার আভাস মিলেছে। তীব্র অস্বস্তিতে প্রকট হয়েছে ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা যা কিনা যখন তখন ঝাঁপিয়ে পড়ার অপেক্ষায়।

ওদিকে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূল। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, উপকূল সংলগ্ন রামনগর ১ ও ২, কাঁথি ১ ও ২ , খেজুরি ১ এবং নন্দীগ্রাম ১ ব্লকে মোট ৯৫০ টি আশ্রয় শিবির খোলা হচ্ছে। সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। সবচেয়ে বেশি ১৫২ টি আশ্রয় শিবির খোলা হচ্ছে রামনগর ১ ব্লক এলাকায়। উপকূলে বসবাসকারী ১২ হাজার ২০০ বাসিন্দাকে আশ্রয় শিবিরে আনা হবে এই ব্লকে।     ছবি:অচিন্ত্য ত্রিপাঠী

RELATED ARTICLES

Most Popular