Homeএখন খবরবেপরোয়া বাইক, বেনজির দুর্ঘটনায় হাতই উড়ে গেল গোয়ালতোড়ের যুবকের! কাটা হাত নিয়েই...

বেপরোয়া বাইক, বেনজির দুর্ঘটনায় হাতই উড়ে গেল গোয়ালতোড়ের যুবকের! কাটা হাত নিয়েই হাসপাতালে ছুটলেন আত্মীয়রা

নিজস্ব সংবাদদাতা; গোয়ালতোড় : ডান হাতে স্টিলের বালা আর একগুচ্ছ বিপত্তারানী ব্রতের লাল সুতো, মা ঠাকুমারা যা বেঁধে দেন বিপদ এড়ানোর জন্য। সেই হাত খানাই পড়ে রয়েছে ঝকঝকে পীচ রাস্তার ওপরে। বাকি দেহটা পড়ে রাস্তা থেকে দুরে ঝোপের ভেতর। দুরন্ত গতির মোটর বাইকের সাথে পিক আপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাইক চালকের ডান হাতটাই উড়ে ওভাবেই রাস্তায় পড়ে।

ছাব্বিশ বছরের ওই তরতাজা যুবকের আত্মীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বাহুমূল থেকে উড়ে যাওয়া হাতটা নিয়েও দৌড়েছিল যদি হাতটা জোড়া লাগানো যায় কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছিল যুবকের। যুবকের সঙ্গে থাকা বাইক আরোহী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। থাইয়ের পেছনের অংশের বড় হাড় ভেঙে টুকরো হয়ে শরীরের ভেতরে ঢুকে গিয়েছে তাঁর।

এমন ভয়ঙ্কর ভয়াবহ দুর্ঘটনা আগে কখনও দেখেনি গোয়ালতোড়বাসী আগে কখনও দেখেনি। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড়ের জিরাপাড়ার ঘটনায় মৃত ওই যুবকের নাম বিজয় মাল। বাড়ি গোয়ালতোড়ের শিরষিতে । আহত যুবকের নাম অজয় মাল। কে মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে এদিন বেলা প্রায় একটা নাগাদ একটি বাইকে করে দুই যুবক দুরন্ত গতিতে গোয়ালতোড়ের দিকে আসছিল, বাইক চালক এবং আরোহী কারো মাথায় হেলমেট ছিল না৷

সেই সময় গোয়ালতোড় থেকে একটি পিক আপ ভ্যান হুমগড়ের দিকে যাওয়ার সময় বাইকের সাথে পিক আপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়৷ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় বিজয়৷ গুরুতর আহত হয় তার সঙ্গী। স্থানীয়রা জানান বাইকের গতিবেগ এতোটাই বেশী ছিল যে দুর্ঘটনার জেরে বাইক চালক বিজয়ের ডান হাতটি দেহ থেকে আলাদা হয়ে যায়, বাইকের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে যায়। এদিকে দুর্ঘটনার পরই পিক আপ ভ্যানের চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বারমেশিয়াতে গাড়িটি আটকে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

দুর্ঘটনার পরই স্থানীয়রা এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগায় ও গোয়ালতোড় থানায় খবর দেয়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোয়ালতোড় থানার পুলিশ। নিহত ও আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে কেওয়াকোল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই মৃত বলে ঘোষনা করা হয়।

অন্যদিকে অজয়ের আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে সেখানকার চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পরই মেদিনীপুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন৷ অজয়ের বাড়ি চন্দ্রকোনার ধামাকুড়াতে। অজয় এবং বিজয় সম্পর্কে মামাতো পিসতুতো ভাই৷ অজয় মামা বাড়ি শিরষিতেই থাকতেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular